ঢাকা: এলিয়েন রয়েছে, এলিয়েন নেই। এভাবেই চলছে ধারণা।
চলতি বছরের শুরুতে আবিষ্কার হয়েছে আরও তিন পৃথিবীসদৃশ গ্রহ। আমাদের গ্রহ থেকে ৪০ আলোকবর্ষ দূরে একটি নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘুরছে পৃথিবী সমান তিনটি বিশ্ব। নতুন প্রমাণ ধারণা দিচ্ছে, এই তিনটি গ্রহের মধ্যে দু’টিতে থাকতে পারে প্রাণের অস্তিত্ব। হাবল স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে জ্যোতির্বিদরা জানান, এসব গ্রহের অভ্যন্তরীণ স্তর পৃথিবীর মতো শিলাময় ও প্রাণ ধারণের উপযুক্ত পরিবেশ দিয়ে বেষ্টিত।
প্ল্যানেটারি সিস্টেম অনুসন্ধানের পর ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানীরা তিনটি গ্রহের অাকার ও তাপমাত্রা বিচার করে বলেন, এটি প্রাণের বেঁচে থাকার জন্য উপযুক্ত। জ্যোতির্বিদদের আন্তর্জাতিক দল জানায়, গ্রহগুলো অতি শীতল বাদামী এক বামন তারকাকে প্রদক্ষিণ করছে। ট্রাপিস্ট-১ নামের এই তারকা আমাদের সূর্যের আট ভাগের এক ভাগ।
ট্রাপিস্ট-১ আমাদের থেকে ৪০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। আবার মঙ্গলের সঙ্গে তুলনা করলে, এর কক্ষপথের ওপর ভিত্তি করে এটি ১২ দশমিক ৫ আলোকমিনিট দূরে রয়েছে।
যদিও অন্যান্য এক্সোপ্ল্যানেট অনুসন্ধান উজ্জ্বল নক্ষত্রকেন্দ্রিক ছিলো। কিন্তু ইউনিভার্সিটি অব লিজের মিখাইল গিলন ও তার দল ট্রাপিস্ট জরিপ করেন নিকটতম আর ৬০টি বামন নক্ষত্র স্ক্যান করার জন্য।
আমাদের বর্তমান প্রযুক্তি দিয়ে ছোট ছোট নক্ষত্রের আশেপাশে আমরা পৃথিবী আকারের এক্সেপ্ল্যানেটের মধ্যে প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে কিনা শনাক্ত করতে পারছিলাম। সুতরাং এখানেই আমাদের দেখা শুরু করতে হবে। জানান মিখাইল।
দলটি দেখেছে তরঙ্গদৈর্ঘ্যের বিভিন্নতায় যখন গ্রহগুলোর নক্ষত্রের সামনে দিয়ে প্রদক্ষিণ করে তখন নক্ষত্রের আলো কেমন হয়। যদি তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সঙ্গে নক্ষত্রলোকের অভিব্যক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন হয় তাহলে বলা যেতে পারে গ্রহটি আকারে বড়, এতে আলো রয়েছে এবং এটি গ্যাস জায়ান্ট বৃহস্পতির মতো স্ফীত পরিবেশের।
দেখা গেছে, তিনটি গ্রহের মধ্যে দু’টির বেলায় নক্ষত্রলোকের অভিব্যক্তি ধ্রুব ছিলো। অর্থাৎ দু’টি গ্রহের পরিবেশ শিলাময় পৃথিবী, মঙ্গল ও শুক্রের মতো দেখাচ্ছিলো।
গবেষণার মূল লেখক ডক্টর জুলিয়েন ডি উইট জানান, এখন আমরা বলতে পারি এই গ্রহগুলো শিলাময়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এগুলোর পরিমণ্ডল কেমন?
এগুলোর পরিবেশ অনেকটা শুক্রের মতো। যেখানে পরিমণ্ডল প্রভাবিত হচ্ছে কার্বনডাই অক্সাইডে। অথবা হতে পারে পৃথিবীর মতো গাঢ় মেঘাচ্ছন্ন বা মঙ্গলের মতো।
গ্রহগুলো আদতে বসবাসযোগ্য কিনা তা বিশ্লেষণে অনুসন্ধানীরা আরও স্পেস টেলিস্কোপ পর্যবেক্ষণ চালাবে বলে জানা যায়।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৬
এসএমএন/এইচএ/