খুলনা: সৌন্দর্য সম্ভার বুকে নিয়ে বহমান খুলনার ঐশ্বর্যময়ী রূপসা নদী। তার উপর দাঁড়িয়ে থাকা খানজাহান আলী সেতুর রাতের চিত্র এটি।
সেতুর নাম খানজাহান আলী হলেও রূপসা সেতু হিসেবেই পরিচিত। যার মাঝে দাঁড়ালে মনে হবে নদীর বুকে অসংখ্য তারা জ্বলজ্বল করে জ্বলছে! আসলে সেটি বৈদ্যুতিক বাতি। এছাড়া যাতায়াত করছে যানবাহন। সন্ধ্যায় রূপসা সেতুতে দাঁড়ালে এই মনোরম দৃশ্য যে কোনো পর্যটককে আকর্ষণ করবে। বিশেষত বাতাসে প্রচণ্ড গতিতে রূপসা নদীর ঢেউগুলো যখন দুই পাড়ে আছড়ে পড়ে তখন সে দৃশ্য যে কারো মনে স্থান করে নেবে।
ঈদের ছুটি শেষ হলেরও সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে খুলনার রূপসা সেতুতে জনস্রোত নামে এখনও। সোডিয়াম বাতির আলোর রোশনাইয়ে জ্বলজ্বল করে পুরো সেতু এলাকা। যা মোহনীয় এক পরিবেশে আচ্ছন্ন করে রাখে আগতদের। শহুরে ব্যস্ততার ঘেরাটোপ পেরিয়ে এ যেন অনন্য এক সৌন্দর্যপুরী!এখানে কেউ আসছেন বন্ধু-বান্ধন নিয়ে আবার কেউ আসছেন পরিবারের সদস্য বা শিশুদের নিয়ে।
সেতুর নিচে তাকালে দেখা যায় অসংখ্য দোকানের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। রং-বেরংয়ের আলোর ঝলকানি জ্বালিয়ে দোকানে যেন এখন বিক্রির ধুম পড়েছে।
ঐশ্বর্যময়ী রূপসা নদীর উপর দাঁড়িয়ে থাকা খানজাহান আলী (র.) (রূপসা সেতু) সেতুর রাতের চিত্র যে কারো মনে ধরতে বাধ্য। তাছাড়া নিরাপত্তা বেষ্টিত থাকায় বিকেল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত নানা শ্রেণির-মানুষ প্রকৃতিক নির্মল আনন্দ উপভোগ করতে এ সেতুতে আসেন বলে জানান সেতু কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৬
এমআরএম/আইএ