ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

রাসমেলায় আসা পূণ্যার্থীদের বাড়তি নিরাপত্তা

জেসমিন পাপড়ি, ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৬
রাসমেলায় আসা পূণ্যার্থীদের বাড়তি নিরাপত্তা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সুন্দরবন যাত্রায় দর্শনার্থীদের জন্য সবচেয়ে বড় ভয় নিরাপত্তা। তবে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে কোনো কমতি রাখেনি সরকার। দুবলার চরে রাসমেলা উপলক্ষে সুন্দরবনে প্রবেশ করা পূণ্যার্থী ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কয়েক স্তর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

কৈখালী ফরেস্ট অফিস, শ্যামনগর থেকে: সুন্দরবন যাত্রায় দর্শনার্থীদের জন্য সবচেয়ে বড় ভয় নিরাপত্তা। তবে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে কোনো কমতি রাখেনি সরকার।

দুবলার চরে রাসমেলা উপলক্ষে সুন্দরবনে প্রবেশ করা পূণ্যার্থী ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কয়েক স্তর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সুন্দরবনের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে বেশ নিশ্চিন্তেই দুবলার চরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন হাজার হাজার পর্যটক ও পূণ্যার্থী।

শনিবার (১২ নভেম্বর) সকালে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের কৈখালী ফরেস্ট অফিস সূত্রে জানা যায়, রাস পূর্ণিমার পূণ্যস্নান উপলক্ষে পূণ্যার্থী ও দর্শনার্থীদের যাতায়াতের জন্য এবার আটটি রুট নির্ধারণ করা হয়েছে।

বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে এসব রুট দিয়ে যাত্রা শুরুর পর বন বিভাগ, কোস্ট গার্ড, র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবির কড়া প্রহরার মাধ্যমে ট্রলারগুলোকে দুবলার চর পর্যন্ত পৌঁছে দেবে।

এক্ষেত্রে একদল একটি নির্দিষ্ট পয়েন্ট পর্যন্ত ট্রলারগুলো পাহারা দিয়ে নিয়ে গিয়ে অন্যদলের হাতে হস্তান্তর করবে। সেখান থেকে একইভাবে আরেকটি দল ট্রলারগুলো আরেকটি পয়েন্ট, এভাবে আবার দুবলার চর পর্যন্ত নিয়ে যাবে।
 
কৈখালী ফরেস্ট অফিসের সহকারী স্টেশন কর্মকর্তা এম এ লতিফ বাংলানিউজকে বলেন, নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি নেই। বনবিভাগ, পুলিশ, র‌্যাব, কোস্টগার্ড ও বিজিবি পাহারা দিয়ে সকল ট্রলার নিয়ে যাবে। এতে তাদের নিরাপত্তা ছাড়াও সুন্দরবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। কোনো ট্রলার থেকে নেমে যাতে সুন্দরবনের গাছ না কাটে বা হরিণ কিংবা পশুপাখি শিকার করতে না পারে সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখা হবে।
 
সুন্দরবনের পশ্চিম বনবিভাগের এই রুট দিয়ে সহস্রাধিক দর্শনার্থী রাসমেলায় প্রবেশ করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা যেমন দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছি, তেমনি তাদেরও উচিত সুন্দরবন রক্ষায় বন বিভাগের নির্দেশাবলী মেনে চলা।
 
প্রতিটি ট্রলার ছাড়ার আগে বন বিভাগের পক্ষ থেকে নির্দেশাবলী সম্পর্কিত লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।
 
নির্দেশনায় সুন্দরবনের ভেতর থেকে কোনভাবেই গাছ কাটা যাবে না, জ্বালানি কাঠও সংগ্রহ করা যাবে না। তীর্থযাত্রী ও দর্শনার্থীদের কারো কাছে যদি সংরক্ষিত বনের কোন শুকনা কাঠ পাওয়া যায় তবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এছাড়া আগ্নেয়াস্ত্র বহন, বন্যপশু শিকার, বনে মাইক বাজানো সম্পূর্ণ নিষেধ। এমনকি মানতের জন্যও হাঁস-মুরগি ছাড়া আর কোন প্রাণী বা প্রাণীর কাঁচা মাংস বনে প্রবেশ না করানোর কঠোর নির্দেশনা রয়েছে।

দুবলার চরে পৌঁছানোর পরে ভাটার সময়ে পূণ্যার্থী বা দর্শনার্থীদের সাগরে নামা সম্পূর্ণ নিষেধ।

রাস মেলা উপলক্ষে সুন্দরবনে তিন দিন অবস্থানের পাস দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের পরে আর কেউ বনে অবস্থান করতে পারবে না।

**রাসমেলায় যেতে ভেটখালী থেকেই সাজসাজ রব

বাংলাদেশ সময়: ১১১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৬
জেপি/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।