ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

রাজারহাটে শিম চাষে স্বাবলম্বী বর্গা চাষি জলিল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৬
রাজারহাটে শিম চাষে স্বাবলম্বী বর্গা চাষি জলিল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

অন্যের জমিতে শিম চাষ করে সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছেন বর্গা চাষি আব্দুল জলিল। চলতি মৌসুমে বিস্তীর্ণ মাঠে শিম চাষ করে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন বুনেছেন তিনি।

কুড়িগ্রাম: অন্যের জমিতে শিম চাষ করে সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছেন বর্গা চাষি আব্দুল জলিল। চলতি মৌসুমে বিস্তীর্ণ মাঠে শিম চাষ করে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন বুনেছেন তিনি।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় চাকিরপশার ইউনিয়নের চাকিরপশার পাঠক গ্রামের আব্দুল জলিল একজন কৃষি শ্রমিক। কর্মসংস্থানের অভাবে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেকটা খেয়ে না খেয়ে দিন কাটতো তার।

এ অবস্থায় কম খরচে ও কম সময়ে শিম চাষ করার পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে শিম চাষে উদ্বুদ্ধ হন তিনি। নিজের ৭ শতক ভিটে মাটি ছাড়া আর কোন আবাদি জমি ছিলো না তার।

চার বছর আগে বাড়ির পার্শ্ববর্তী এক ব্যক্তির ১৫ শতক জমি বর্গা নিয়ে অনেকটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে শিম চাষ শুরু করেন তিনি। এতে ব্যাপক সফল হন। এভাবেই শুরু হয় তার শিম চাষ করে ভাগ্য বদলের চেষ্টা।

বর্তমানে শিম চাষ করে স্ত্রী, ছেলে ও নাতি-নাতনিসহ সাত সদস্যের পরিবার নিয়ে স্বচ্ছল ভাবেই দিনাতিপাত করছেন আব্দুল জলিল। শিম চাষকে পেশা হিসেবে নিয়ে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

আব্দুল জলিল জানান, চলতি মৌসুমে ৫ মণ ধান দেওয়ার শর্তে ৩৫ শতক জমি বর্গা নিয়ে শিম চাষ শুরু করেন। বাড়ির গোবর সার প্রয়োগ করে নিজের পরিশ্রম এবং জমি চাষে পাওয়ার ট্রিলারের খরচসহ বীজ ক্রয় করতে খরচ হয়েছে মাত্র ৩ হাজার টাকা। বারি জাতের শিমের বীজ রোপণের পর নিড়ানি, সার প্রয়োগ, স্প্রে ও পরিচর্যার কাজ স্বামী-স্ত্রী মিলেই করেন। বাকী সব ধরনের খরচ দিয়ে পুরো মৌসুমে খরচ পড়বে প্রায় ৭ হাজার টাকা।

সমস্ত খরচ বাদ দিয়েও চলতি মৌসুমে শিম বেঁচে দুই লক্ষাধিক টাকা আয় করবেন এমনই প্রত্যাশা তার।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন, বাদশা মিয়াসহ আরো অনেকেই জানান, আব্দুল জলিলকে কৃষি অফিস বা সরকারিভাবে ভালো পরামর্শ ও সাহায্য সহযোগিতা করা হলে তিনি সবজি চাষে আরো সফল হবেন। জলিলের এ উন্নতি দেখে অনেকেই শিম চাষে উদ্বুদ্ধ হবেন বলে মনে করেন তারা।
 
রাজারহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ষষ্টি চন্দ্র রায় জানান, আগাম শিম চাষ করায় ভালো দামও পাচ্ছেন ক‍ৃষক জলিল। এ ধরনের প্রদর্শনীতে সবধরনের সেবা ও সহযোগিতা করতে কৃষি বিভাগ সবসময় প্রস্তুত।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৬
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।