ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ইতিহাসে এই দিন

জগদীশচন্দ্র ও বুদ্ধদেব বসুর জন্ম, আল-মুতীর মৃত্যু

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৬
জগদীশচন্দ্র ও বুদ্ধদেব বসুর জন্ম, আল-মুতীর মৃত্যু

ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সে সব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে।

প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সে সব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন।

৩০ নভেম্বর, ২০১৬, বুধবার। ১৬ অগ্রহায়ণ, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
•    ১৭৫৯ - মোগল সম্রাট দ্বিতীয় আলমগীর নিজের মন্ত্রীর হাতে নিহত হন।
•    ১৮৩৮ - ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে মেক্সিকো।
•    ১৮৬৩ - উমাচরণ ভট্টাচার্য মুদ্রিত মাসিক পত্রিকা ‘সচিত্র ভারত সংবাদ’ প্রকাশিত হয়।
•    ১৯৬৬ - ব্রিটেনের কাছ থেকে ক্যারিবিয়ান সাগরের দ্বীপ রাষ্ট্র বারবাডোজ স্বাধীনতা লাভ করে।

ব্যক্তি
•    ১৬৬৭ - ইংরেজ লেখক জোনাথান সুইফটের জন্ম।
•    ১৮৩৫ - যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতিমান লেখক মার্ক টোয়েনের জন্ম।
•    ১৮৫৮ - পদার্থবিজ্ঞানী ও উদ্ভিদবিজ্ঞানী আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর জন্ম। ময়মনসিংহে জন্ম নেওয়া বসুর এগারো বছর বয়সে কলকাতায় চলে যায় তার পরিবার। তারপর থেকে সেখানেই বসবাস তাদের। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি ডিগ্রিধারী বসু বিদ্যুৎতরঙ্গের আলোকধর্মী প্রবণতার মধ্যে প্রতিফলন, প্রতিসরণ, সর্বমোট প্রতিফলন, সমবর্তী বিচ্ছুরণ ইত্যাদি বিষয়ে তিনি গবেষণা পরিচালনা করেন। আকাশ-তরঙ্গ ও বৈদ্যুতিক চুম্বক তরঙ্গের ওপর গবেষণা করতে গিয়ে জগদীশচন্দ্র বেতার বার্তার সূত্র আবিষ্কার করেন। বিনাতারে শব্দ প্রেরণের ‘ক্রিস্ট্যাল রিসিভার’ নামক যে বেতার যন্ত্রটি তিনি আবিষ্কার করেন তার সাহায্যে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে প্রায় এক মাইল দূরে অবস্থিত তার বাসভবনে সাংকেতিক শব্দ প্রেরণ করতে সক্ষম হন। এছাড়া তিনি নিজের উদ্ভাবিত যন্ত্রের সাহায্যে প্রমাণ করেন যে অদৃশ্য-আলোকেও দৃশ্য-আলোকের সকল ধর্ম বর্তমান। তার গবেষণা কর্মের ওপর ভিত্তি করেই ১৮৯৬ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ডিএসসি ডিগ্রি প্রদান করে। ক্ষুদ্র শব্দতরঙ্গ সৃষ্টি সম্পর্কিত তার গবেষণা থেকে আধুনিক তরঙ্গপথের ধারণার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। তার পরিচালিত গবেষণা ও আবিষ্কৃত যন্ত্রসমূহের সঙ্গে রাডার প্রযুক্তি উন্নয়নের প্রাথমিক পর্যায়ের যন্ত্রসমূহের ঘনিষ্ঠ সাদৃশ্য রয়েছে। তার গবেষণা উদ্ভিদবিজ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে তোলে এবং ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যবহারিক ও গবেষণাধর্মী বিজ্ঞানের সূচনা করে। ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স তাকে রেডিও বিজ্ঞানের জনক বলে অভিহিত করে। বিজ্ঞানে অবদানের জন্য তিনি ব্রিটিশ সরকারের ‘নাইট’ উপাধিও পেয়েছিলেন। ১৯৩৫ সালের ২৩ নম্বর জগদীশচন্দ্রের জীবনাবসান হয়।
•    ১৯০০ - ব্রিটিশ নাট্যকার ও ঔপন্যাসিক অস্কার ওয়াইল্ডের মৃত্যু।
•    ১৯০৮ - বাঙালি কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, কবি, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক এবং সম্পাদক বুদ্ধদেব বসুর জন্ম। কুমিল্লায় জন্ম নেওয়া এ ভারতীয় বিংশ শতাব্দীর বিশ ও ত্রিশের দশকের নতুন কাব্যরীতির সূচনাকারী অন্যতম কবি হিসেবে সমাদৃত। তবে সাহিত্য সমালোচনা ও কবিতা পত্রিকার প্রকাশ ও সম্পাদনার জন্য তিনি বিশেষভাবে সম্মাননীয়। প্রগতি ও কল্লোল নামে দু’টি পত্রিকায় লেখার অভিজ্ঞতা সম্বল করে যে কয়েকজন তরুণ লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবদ্দশাতেই তার প্রভাবের বাইরে দাঁড়াবার দুঃসাহস করেছিলেন বুদ্ধদেব তাদের অন্যতম। ইংরেজি ভাষায় কবিতা, গল্প, প্রবন্ধাদি রচনা করে তিনি ইংল্যান্ড ও আমেরিকায়ও প্রশংসা অর্জন করেছিলেন। তার অজস্র রচনার মধ্যে রয়েছে -কাব্য ‘মর্মবাণী’, ‘বন্দীর বন্দনা’, ‘পৃথিবীর পথে’, ‘কঙ্কাবতী’, ‘দময়ন্তী’, ‘দ্রৌপদীর শাড়ি’, ‘মরচেপড়া পেরেকের গান’, ‘একদিন: চিরদিন’, ‘স্বাগত বিদায়’; উপন্যাস ‘সাড়া’, ‘সানন্দা’, ‘লাল মেঘ’, ‘পরিক্রমা’, ‘কালো হাওয়া’, ‘তিথিডোর’, ‘নির্জন স্বাক্ষর’, ‘মৌলিনাথ’, ‘নীলাঞ্জনের খাতা’, ‘পাতাল থেকে আলাপ’; গল্প ‘রজনী হ'ল উতলা’, ‘হাওয়া বদল’ প্রভৃতি। সাহিত্যে অনন্য অবদানের জন্য তিনি ১৯৭০ সালে ভারত সরকারের ‘পদ্মভূষণ’ উপাধি লাভ করেন। ১৯৭৪ সালের ১৮ মার্চ কলকাতায় মৃত্যু হয় বুদ্ধদেবের।
•    ১৯৯৮ – ভাষাসৈনিক, বিজ্ঞানী ও লেখক আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দিনের মৃত্যু। ১৯৩০ সালের ১ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জে জন্ম নেওয়া আল-মুতী বাংলাদেশের বিজ্ঞান লেখকদের মধ্যে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে ইউনেস্কো কলিঙ্গ পুরস্কার লাভ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৬
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।