ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ইতিহাসের এই দিন

যুগশ্রেষ্ঠ বাঙালি পরিচালক সত্যজিতের জন্ম

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৩ ঘণ্টা, মে ১, ২০১৭
যুগশ্রেষ্ঠ বাঙালি পরিচালক সত্যজিতের জন্ম সত্যজিৎ রায়

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

০২ মে, ২০১৭, মঙ্গলবার। ১৯ বৈশাখ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

জন্ম
১৯২১- বিংশ শতকের অন্যতম সেরা চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়। শুধু একজন পরিচালক হিসাবে নন, লেখক ও সুরকার হিসাবেও তার খ্যাতি। ছোট বড় মিলিয়ে তিনি মোট ৩৬টি ছবি পরিচালনা করেছেন। সেরা সাহিত্য চরিত্র ফেলুদা এবং প্রফেসর শঙ্কু আজও পাঠক মনে দাগ কাটে। তার প্রথম ছবি পথের পাঁচালি (১৯৫৫)। এটি ১১টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছে। ১৯৫৬-এ এই ছবিটি কান চলচ্চিত্র উৎসবে বেস্ট হিউম্যান ডকুমেন্ট পুরস্কার পেয়েছে। তার অন্যান্য সেরা ছবিগুলির মধ্যে রয়েছে অপরাজিত(১৯৫৬), অপুর সংসার(১৯৫৯)। মোট ৩২টি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। ১৯৯২-এ পেয়েছেন ভারতরত্ন।  
ভারতের কলকাতার সাহিত্য ও শিল্প জগতের খ্যাতনামা এক বাঙালি পরিবারে তার জন্ম হয়। তবে পূর্বপুরুষের ভিটা ছিল বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার মসূয়া গ্রামে। যেখানে সত্যজিতের পিতামহ বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী এবং বাবা লেখক সুকুমার রায়- দুজনেরই জন্ম। তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ ও শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। সত্যজিতের কর্মজীবন একজন বাণিজ্যিক চিত্রকর হিসেবে শুরু হলেও প্রথমে কলকাতায় ফরাসি চলচ্চিত্র নির্মাতা জঁ রনোয়ারের সাথে সাক্ষাৎ ও পরে লন্ডন শহরে সফররত অবস্থায় ইতালীয় নব্য বাস্তবতাবাদী ছবি লাদ্রি দি বিচিক্লেত্তে (ইতালীয় ভাষায় Ladri di biciclette, অর্থ: বাইসাইকেল চোর) দেখার পর তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণে উদ্বুদ্ধ হন।
তার শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের মধ্যে, পথের পাঁচালী (১৯৫৫), অপরাজিত (১৯৫৭), অপুর সংসার (১৯৫৯), জয় বাবা ফেলুনাথ (১৯৭৮), হীরক রাজার দেশে (১৯৮০), ঘরে বাইরে (১৯৮৪) এবং আগন্তুক (১৯৯১) অন্যতম।
এছাড়াও লেখক হিসেবে, গণশত্রু (১৯৮৯), গুপী বাঘা ফিরে এলো (১৯৯১, গল্প), গুপী গাইন বাঘা বাইন (১৯৬৮, চিত্রনাট্য) প্রচুর সুনাম কুড়িয়েছে।
১৯৯২ সালের ২৩ এপ্রিল তিনি চলে যান না ফেরার দেশে।

১৯২৮- ফয়েজ আহমেদ, বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ।
১৯২৯- এদুয়ার বালাদুর, ফ্রান্সের সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
১৯৩৫- দ্বিতীয় ফয়সাল, ইরাকের তৃতীয় ও শেষ বাদশাহ।
১৯৭৫- ডেভিড বেকহ্যাম, ইংরেজ ফুটবলার।

মৃত্যু
১৫১৯- লিওনার্দো দা ভিঞ্চি, ইতালীয় রেনেসাঁসের কালজয়ী চিত্রশিল্পী।
তিনি ইতালীয় রেনেসাঁসের কালজয়ী চিত্রশিল্পী। মোনালিসার সৃষ্টি। যা চিত্রশিল্পে এক বিস্ময়। অবশ্য বহুমুখী প্রতিভাধর লিওনার্দো দা ভিঞ্চি একাধারে ভাস্কর, স্থপতি, সঙ্গীতজ্ঞ, সমরযন্ত্রশিল্পী এবং বিংশ শতাব্দীর বহু বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের নেপথ্য জনক। লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির জন্ম ফ্লোরেন্সের অদূরবতী ভিঞ্চি নগরের এক গ্রামে, ১৪৫২ সালের ১৫ এপ্রিল। তার বিখ্যাত শিল্পকর্মগুলোর মধ্যে মোনালিসা, দ্য লাস্ট সাপার অন্যতম। তার শৈল্পিক মেধার বিকাশ ঘটে খুব অল্প বয়সেই। আনুমানিক ১৪৬৯ সালে রেনেসাঁসের অপর বিশিষ্ট শিল্পী ও ভাস্কর আন্দ্রেয়া ভেরোচ্চিয়োর কাছে ছবি আঁকায় ভিঞ্চির শিক্ষানবিশ জীবনের সূচনা। এই শিক্ষাগুরুর অধীনেই তিনি ১৪৭৬ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে, বিশেষত চিত্রাঙ্কনে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেন। ১৪৭২ সালে তিনি চিত্রশিল্পীদের গিল্ডে ভর্তি হন এবং এই সময় থেকেই তার চিত্রকর জীবনের সূচনা।

১৯৭৭- মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা, বাঙালি কবি।
১৯৮০- ক্ল্যারি গ্রিমেট, অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার।
২০১১- ওসামা বিন লাদেন, সন্ত্রাসবাদী গেরিলা যোদ্ধা এবং আল-কায়দা এর প্রতিষ্ঠাতা।

বাংলাদেশ সময়: ০০১০ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৭
আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।