ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

সাফল্যের সুখস্মৃতি

শিক্ষকেরা ভরসা, বাবা-মা প্রেরণা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৮ ঘণ্টা, মে ৪, ২০১৭
শিক্ষকেরা ভরসা, বাবা-মা প্রেরণা মায়ের সঙ্গে রাইদা জাহান। ছবি: উজ্জ্বল ধর / বাংলানিউজ

৭০ নম্বরের সৃজনশীল পরীক্ষার ‍চাপ, প্রশ্ন ফাঁসের মতো পীড়াদায়ক ঘটনা, ফিজিক্সের কঠিন প্রশ্নপত্র সত্ত্বেও এসএসসিতে ‘জিপিএ ৫’ পাওয়ায় আমি খুবই খুশি।

আমার বাবা ডা. চৌধুরী আমির মোহাম্মদ ফারুক, মা নাজমা জাহান আমার পড়াশোনার জন্য অনেক কষ্ট করেছেন। তারা ছিলেন প্রেরণা।

এর মধ্যে মা’র ভূমিকা একটু বেশিই ছিল। একেবারে বন্ধুর মতো সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছিলেন। জোর করে দুধ, ডিম, বাংলা কলা খাওয়াতেন।   

ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শহিদুল্লাহ স্যার ও বড় আপু (হাসমত জাহান) সহ সব শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। কারণ তারা ছিলেন আমার ভরসাস্থল।

বিদ্যালয়ের পড়াশোনার বাইরে আমি কঠিন সাবজেক্টগুলোতে কোচিং করেছি। মা’র সঙ্গেই যেতাম কোচিং সেন্টারে। বাসায়ও একজন গৃহশিক্ষক ছিলেন। সবচেয়ে বড় কথা নিজেই পড়াশোনা করেছি দৈনিক পাঁচ-ছয় ঘণ্টা।

পরীক্ষার আগে চাপ ছিল, পরীক্ষার সময় চাপ ছিল এমনকি পরীক্ষার পর খাতা মূল্যায়ন নিয়েও চাপ ছিল। অবশ্য মা আমাকে জানিয়েছিলেন, তিনি মিডিয়ায় দেখেছেন শিক্ষামন্ত্রী পরীক্ষার খাতা সঠিকভাবে মূল্যায়নের আশ্বাস দিয়েছেন। এতে কিছুটা স্বস্তিবোধ করেছিলাম।

আমার বাবা ডাক্তার। আমিও ডাক্তার হতে চাই। তবে এর জন্য আরও অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে।        

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৭

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।