ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ইতিহাসে এই দিন: হো চি মিন ও মানিক বন্দোপাধ্যায়ের জন্ম

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫১ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৭
ইতিহাসে এই দিন: হো চি মিন ও মানিক বন্দোপাধ্যায়ের জন্ম

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

১৯ মে, ২০১৭, শুক্রবার। ০৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
•    ১৫৬৮ - ইংল্যান্ডের রাণী প্রথম এলিজাবেথ স্কটল্যান্ডের রাণী ম্যারিকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন।
•    ১৯৬১ - আসামের বরাক উপত্যকায় বাংলাকে সরকারি ভাষার মর্যাদার দাবিতে চলমান আন্দোলনে প্রাদেশিক পুলিশের গুলিতে ১১ জন শহীদ হন।  
•    ১৯৯১ - সাবেক যুগোশ্লাভিয়াভুক্ত ক্রোয়েশিয়ানদের স্বাধীনতার জন্য গণভোট।
•    ২০০১ - অ্যাপলের প্রথম রিটেইল স্টোর উদ্বোধন।

জন্ম
•    ১৮৮১ - আধুনিক তুরস্কের জনক ও প্রথম প্রেসিডেন্ট মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক।
•    ১৮৯০ - গণপ্রজাতন্ত্রী ভিয়েতনামের জনক ও কমিউনিস্ট বিপ্লবী নেতা হো চি মিন। হো চি মিন ভিয়েতনামের স্বাধীনতা সংগ্রামের পুরোধা ছিলেন। ১৯৪১ সালের পরবর্তী সময়ে ফ্রেঞ্চ ইউনিয়নের বিরুদ্ধে তার নেতৃত্বেই স্বাধীনতা সংগ্রাম বজায় থাকে এবং ১৯৪৫ সালে কমিউনিস্টশাসিত গণপ্রজাতন্ত্রী ভিয়েতনাম প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর তিনি প্রেসিডেন্টের পদে দায়িত্ব নেন। উত্তর ভিয়েতনামের রাজনীতিতে তার প্রভাব ১৯৫০ এর দশকের শেষভাগে সীমিত হয়ে আসে। কিন্তু ১৯৬৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনি প্রেসিডেন্টের পদেই আসীন ছিলেন। ভিয়েতনামযুদ্ধে (১৯৫৫-১৯৭৫) দক্ষিণ ভিয়েতনামের পতনের পর সেখানকার পূর্বতন রাজধানী সাইগনের নাম পাল্টে হো চি মিন সিটি রাখা হয় তার সম্মানার্থে।
•    ১৯০৮ - বিখ্যাত ভারতীয় বাঙালি কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝাড়খণ্ডে জন্ম নেওয়া মানিকের প্রকৃত নাম প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর পৃথিবীজুড়ে মানবিক মূল্যবোধের চরম সংকটময় মুহূর্তে বাংলা কথা-সাহিত্যে যে কয়েকজন লেখকের হাতে সাহিত্যজগতে নতুন এক বৈপ্লবিক ধারা সূচিত হয়, মানিক তাদের মধ্যে অন্যতম। তার রচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল মধ্যবিত্ত সমাজের কৃত্রিমতা, শ্রমজীবী মানুষের সংগ্রাম, নিয়তিবাদ ইত্যাদি। ফ্রয়েডীয় মনঃসমীক্ষণ ও মার্কসীয় শ্রেণীসংগ্রাম তত্ত্ব দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত ছিলেন মানিক। তিনি বিয়াল্লিশটি উপন্যাস ও দুই শতাধিক ছোটগল্প রচনা করেন। তার রচিত- পদ্মা নদীর মাঝি, পুতুলনাচের ইতিকথা, দিবারাত্রির কাব্য ইত্যাদি উপন্যাস বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্পদ বলে বিবেচিত হয়। ১৯৫৬ সালের ৩ ডিসেম্বর মাত্র আটচল্লিশ বছর বয়সে কলকাতায় বিশ শতকের অন্যতম শক্তিশালী এই কথাসাহিত্যিকের জীবনাবসান ঘটে।

মৃত্যু
•    ১৯৫৮ - স্বনামধন্য বাঙালি ইতিহাসবিদ স্যার যদুনাথ সরকার।
•    ২০১২ - প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী সফিউদ্দিন আহমেদ।

বাংলাদেশ সময়: ০০১০ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৭
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।