ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ইতিহাসে এই দিনে

বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান শহীদ হন

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৭
বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান শহীদ হন বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’।

২০ আগস্ট, ২০১৭, রোববার। ০৫ ভাদ্র, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।  

ঘটনা

১৮২৮- রামমোহন রায়ের উদ্যোগে ‘ব্রাহ্মসভা’ প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৮৯৭- নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী রোনাল্ড রস ম্যালেরিয়ার জীবাণু আবিষ্কার করেন।

১৯১৪- জার্মান নাজি বাহিনী বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস দখল করে।

১৯৪১- সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত এস্তোনিয়া পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে।

১৯৬১- পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানির মধ্যে বার্লিন প্রাচীর তৈরির কাজ শেষ হয়।

১৯৮৮- দীর্ঘ আট বছর পর ইরান-ইরাক যুদ্ধ বিরতি কার্যকর।

জন্ম

১৮৮৬- সাহিত্যিক অজিত কুমার চক্রবর্তী।

১৯০১- নোবেলজয়ী (১৯৫৯) ইতালীয় কবি সালভাতোরে কোয়াজিমোদো।

১৯১৩- নোবেলজয়ী (১৯৮১) মার্কিন স্নায়ুবিদ রোগর উলকট স্পেরি।

১৯৪৪- ভারতের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী।

মৃত্যু

১৯০৬- বাঙালি রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক আনন্দমোহন বসু।

১৯১৫- নোবেলজয়ী (১৯০৮) জার্মান জীবাণুবিদ পল এইরলিখ।

১৯৬১- নোবেলজয়ী (১৯৪৬) মার্কিন পদার্থবিদ পার্সি ইউলিয়াম ব্রিজম্যান।

১৯৭১- বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান। তিনি ১৯৪১ সালের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকার ১০৯, আগা সাদেক রোডে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালে পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে যোগ দেন তিনি। ১৯৬৩ সালে রিসালপুর পিএএফ কলেজ থেকে পাইলট অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন। এরপর তিনি টি-৩৩ ও এফ-৮৬ জেট প্লেনের উপর কনভার্সন কোর্স সম্পন্ন করেন। মুক্তিযুদ্ধের শুরুর সময় তিনি বাংলদেশ অবস্থানকালে ভৈরবে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য একটি ট্রেনিং ক্যাম্প খোলেন। এরপর মে মাসে কর্মস্থল থেকে জঙ্গিবিমান দখল এবং সেটা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের লক্ষে তিনি করাচি ফিরে যান।

সেখানে বিমানবাহিনীর সেফটি অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় রশিদ মিনহাজ নামের একজন শিক্ষানবিশ পাইলটকে অজ্ঞান করে একটি টি-৩৩ জেট প্লেন ছিনতাই করে বাংলাদেশ অভিমুখে রওয়ানা দেন। বিপদবার্তা শত্রুদের কাছে পৌঁছালে আরও চারটা প্লেন মতিউর রহমানকে ধাওয়া করে। এক পর্‌্যায়ে মতিউরের সামনের আসনে বসে থাকা মিনহাজের জ্ঞান ফিরে এলে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। এর ফলে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের খুব কাছে প্লেনটি মিনহাজসহ বিধ্বস্ত হয়, আর নিজ আসন থেকে ছিটকে পড়ে শহীদ হন মতিউর রহমান। বাংলাদেশ সরকার মতিউর রহমানকে তার সাহসী ভূমিকার জন্য বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত করে। পাকিস্তান সরকার মতিউর রহমানের মরদেহ করাচির মাসরুর বেসের চতুর্থ শ্রেণীর কবরস্থানে সমাহিত করেছিল। পরবর্তীতে ২০০৬ সালের ২৪ জুন মতিউর রহমানের দেহাবশেষ পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়। তাকে পূর্ণ মর্যাদায় ২৫ জুন শহীদ বুদ্ধিজীবী গোরস্থানে পুনরায় দাফন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০২২১ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৭
এনএইচটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।