ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

শুকরের মাধ্যমে অঙ্গ প্রতিস্থাপন মানবদেহে!

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৭
শুকরের মাধ্যমে অঙ্গ প্রতিস্থাপন মানবদেহে!

ঢাকা: ভবিষ্যতে মানুষের অঙ্গ প্রতিস্থাপনে ব্যবহার করা হবে শুকরের অঙ্গকে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রজনন বিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ ডক্টর জর্জ চার্চ মনে করেন, আগামী দুই বছরের মধ্যেই বিশ্বে প্রথমবারের মতো এ কাজ করা সম্ভব হবে।

নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, জিন এডিটিং পদ্ধতির মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা শুকরের দেহ থেকে ত্রুটিপূর্ণ ডিএনএ সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন। এর ফলে অঙ্গ প্রতিস্থাপনে মারাত্মক রোগ রেট্রোভাইরাস হোস্ট দেহে সংক্রমিত হবে না।


ইউনাইটেড নেটওয়ার্ক ফর অরগান শেয়ারিং এর চিফ মেডিকেল অফিসার ডক্টর ডেভিড ক্লাসেন সংবাদ মাধ্যমকে জানান, গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে ৩৩ হাজার ৬০০ জনের অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। প্রতিস্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছেন আরো ১ লাখ ১৬ হাজার ৮০০ জন। প্রতিদিন প্রতিস্থাপন সংক্রান্ত বিভিন্ন জটিলতায় ২১ জনের মৃত্যু ঘটে। কারণ, চাহিদার তুলনায় ডোনারের সংখ্যা খুবই কম।  

ভবিষ্যতে যদি মানুষের দেহে শুকরের অঙ্গ নিরাপদে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয়, তবে বর্তমান চিকিৎসা বিজ্ঞানের চেহারাই পালটে যাবে বলেও মনে করেন ডক্টর ক্লাসেন।

অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে ধরা হয় রেট্রোভাইরাসকে, যার কারণে হোস্ট দেহে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। ডিএনএ এডিটিং এর মাধ্যমে ১৫টি ক্লোন করা শুকরের ডিএনএকে রেট্রোভাইরাস ধারণের অনুপযোগী করতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সুতরাং, শুকরের অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ফলে মানুষের দেহে রেট্রোভাইরাসের ঝুঁকি থাকবে না।

গবেষকদের মতে, শুকরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রতঙ্গের আকৃতি ও কার্য পদ্ধতি মানুষের দেহে প্রতিস্থাপনের খুবই উপযুক্ত। ফলে ভবিষ্যতে কারো অঙ্গ প্রতিস্থাপনে উপযুক্ত ডোনার খুঁজতে অতিরিক্ত সময় ও অর্থ ব্যয় করতে হবে না।

বাংলাদেশ সময়: ০১২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৭
এনএইচটি/এএসআর
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।