ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

মহান বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটনের জন্ম

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০১৮
মহান বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটনের জন্ম মহান বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটনের জন্ম

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভাল, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলা নিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’।

০৪ জানুয়ারি, ২০১৭, বৃহস্পতিবার। ২০ পৌষ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।  

ঘটনা
খ্রিস্টপূর্ব ৪৬ - টিটাস ল্যাবিয়েনাস রক্তক্ষয়ী রুসপিনার যুদ্ধে জুলিয়াস সিজারকে পরাজিত করেন।
৮৭১ - রিডিংয়ের যুদ্ধে ওয়েসেক্সের এথেলরেড দিনেমার বাহিনীর হাতে পরাজিত হন।
১০৬৬ - হেস্টিংসের যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
১৪৯৩ - ক্রিস্তোফার কলম্বাস নব আবিষ্কৃত আমেরিকা এলাকা ত্যাগ করে তার প্রথম সফরের সমাপ্তি ঘটান।
১৬৪২ - ব্রিটেনের গৃহযুদ্ধে রাজা প্রথম চার্লস কর্তৃক সংসদ আক্রমণ।
১৯৭১ - জাতীয় মুজাহিদ সংঘ পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের পৃথকীকরণ ও পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করে।

জন্ম
১৬৪৩ - আইজ্যাক নিউটন, পদার্থবিজ্ঞানী, গণিতবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, প্রাকৃতিক দার্শনিক এবং আলকেমিস্ট। অনেকের মতে, নিউটন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী বিজ্ঞানী। ১৬৮৭ সালে তার বিশ্বনন্দিত গ্রন্থ- ‘ফিলসফিয়া ন্যাচারালিস প্রিন্সিপিয়া ম্যাথামেটিকা’ প্রকাশিত হয়। এতে তিনি সর্বজনীন মহাকর্ষ এবং গতির তিনটি সূত্র বিধৃত করেন। এই সূত্র ও মৌল নীতিগুলোই চিরায়ত বলবিজ্ঞানের ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে। তিনিই প্রথম দেখান, পৃথিবী এবং মহাবিশ্বের সব বস্তু একই প্রাকৃতিক নিয়মের অধীনে পরিচালিত হয়। শব্দের দ্রুতি এবং শীতলীকরণ প্রক্রিয়া বিষয়েও তিনি গবেষণা পরিচালনা করেন এবং এ থেকে নিউটনের শীতলীকরণ সূত্র এসেছে। নিউটন এবং লাইবনিজ যৌথভাবে ক্যালকুলাস নামে গণিতের একটি নতুন শাখার শুরু করেন। এই নতুন শাখাটিই আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের জগতে বিপ্লব সাধনে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে। ১৭২৭ সালের ৩১ মার্চ এ মহান বিজ্ঞনী মৃত্যুবরণ করেন।
১৭৮৫ - ইয়াকপ গ্রিম, জার্মান ভাষাতাত্ত্বিক, আইনজ্ঞ ও পুরাণবেত্তা।
১৯৪০ - গাও শিংশিয়ান, সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী চীনা ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক এবং অনুবাদক।
১৯৫০ - খোন্দকার আশরাফ হোসেন, বাংলাদেশি কবি এবং সাহিত্য সমালোচক।

মৃত্যু
১৯৬০ - এ্যালবার্ট কাম্যু, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আলজেরিয়ান সাহিত্যিক।
১৯৬১ - এর‌উইন শ্রোডিঙ্গার, একজন অস্ট্রিয়ান পদার্থবিদ।
১৯৯৭ - আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, বাংলাদেশি কথাসাহিত্যিক। তিনি একজন স্বল্পপ্রজ লেখক ছিলেন। দুইটি উপন্যাস, গোটা পাঁচেক গল্পগ্রন্থ আর একটি প্রবন্ধ সংকলন এই নিয়েই তার রচনাসম্ভার। বাস্তবতার নিপুণ চিত্রণ, ইতিহাস ও রাজনৈতিক জ্ঞান, গভীর অন্তর্দৃষ্টি ও সূক্ষ্ম কৌতুকবোধ তার রচনাকে দিয়েছে ব্যতিক্রমী সুষমা। বাংলা সাহিত্যে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর পরেই তিনি সর্বাধিক প্রশংসিত বাংলাদেশি লেখক।

বাংলাদেশ সময়: ০০১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৮
এনএইচটি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।