ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

ঠাণ্ডায় ঠাণ্ডা পরিমাপন যন্ত্র  বিকল!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৮
ঠাণ্ডায় ঠাণ্ডা পরিমাপন যন্ত্র  বিকল! বাঁয়ের ছবি: ঠাণ্ডায় ঠাণ্ডা পরিমাপন যন্ত্র গেছে বিকল হয়ে। ডানে: ঠাণ্ডায় ভুরু হয়ে গেছে তারের মতো শক্ত

সাইবেরিয়ার প্রত্যন্ত গ্রাম ওয়াইমিয়াকোন যেন ঠাণ্ডার স্থায়ী নিবাস। এই গ্রামটিকে পৃথিবীর শীতলতম গ্রাম বলা হয়। সেখানে জানুয়ারি মাসে গড় তাপমাত্রা থাকে মাইনাস ৫০ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখানে দরজার বাইরে পা দিলেই চোখের পাতা, ভ্রু জমে তারের মতো শক্ত হয়ে যায়!

রাশিয়ার গ্রামগুলোর মধ্যে এটি এতই বরফ-শীতল যে বৈদ্যুতিক থার্মোমিটার বিকল হয়ে পড়ে! হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা নয়, এখানে হাড় চিড়ে যাওয়া তাপমাত্রা মাইনাস ৬২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্‍যন্ত রেকর্ড হয়েছে চলতি মাসে।

কাজেই কোনো সন্দেহ নেই যে বিশ্বের শীতলতম গ্রাম ওয়াইমিয়াকোন।


সর্বোচ্চ রেকর্ড পরিমাণ তাপমাত্রা নেমেছিল ১৯৩৩ সালে। সেবার স্থানীয় আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছিল মাইনাস ৫৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে সেটি ছিল মাইনাস ৬৭!পর্যটকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে গত বছর ওয়াইমিয়াকোনের বাজারে ডিজিটাল থার্মোমিটার বসানো হয়েছিল। দেখা যায়, ভূতুড়ে তাপমাত্রা মাইনাস ৬২ ডিগ্রি!

মাছের দোকানে লাস্যময়ী তরুণী বিক্রেতা।  ছবি-সংগৃহীত

সাইবেরিয়ান টাইমস বলছে অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় থার্মোমিটারটি ফেটে-ভেঙে বিকল হয়ে গেছে!

ইয়াকুতিয়া প্রদেশের এই গ্রামটিতে ৫০০ লোকের বসবাস। ১৯২০ থেকে ১৯৩০ সালের দিকে গ্রামটি হরিণ পালকদের যাত্রা বিরতির স্থান হিসেবে পরিচিত ছিল। সে সময় মাটির নিচ থেকে উঠে আসা পানি পশুদের পান করানো হতো। পরবর্তী সময়ে সোভিয়েত সরকার আদি অধিবাসীদের উচ্ছেদ করে সেখানে স্থায়ী বসতি গড়ে তোলে।

ওয়াইমিয়াকোনদের প্রতিদিনকার সমস্যাগুলোর মধ্যে আছে কলমের কালি জমে যাওয়া, মুখের সঙ্গে চশমা জমে আটকে থাকা ও ব্যাটারির পাওয়ার  দ্রুত কমে যাওয়া। এমনকি সেখানকার লোকেরা গাড়ি ফের স্টার্ট নেবে কি না এই ভয়ে সারাদিন গাড়ি সচল রাখে!
বাংলাদেশ সময় ১৯৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৮
এমএসএ/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।