ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

কেন এবারের চীনা নববর্ষটি কুকুরের!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৮
কেন এবারের চীনা নববর্ষটি কুকুরের! এবারের চীনা নতুন বর্ষটি ধরা হয়েছে কুকুরের জন্যে

ঢাকা: সবাইকে চীনা নতুন বর্ষের শুভেচ্ছা। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এখন উদযাপন করা হচ্ছে চীনা নববর্ষ। নতুন এই বর্ষকে ধরা হয়েছে কুকুরের জন্যে!

চীনা নববর্ষ কিন্তু আমাদের বাংলা বা ইংরেজি নববর্ষের মতো প্রতিবছর একইদিনে নয়। দুনিয়াজুড়ে ১৬ এবং ১৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছে চীনা নববর্ষ।

নতুন এই নববর্ষ কেন কুকুরের হলো আর চৈনিক সংস্কৃতিতে প্রাণীগুলোর অর্থ কি আসুন জেনে নেওয়া যাক।

দুনিয়ার সবচেয়ে রঙিন আর সমৃদ্ধ উৎসবগুলোর একটি চীনা নববর্ষ। এ বছর গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ছিল চীনা নতুন বর্ষ। দুই সপ্তাহব্যাপী চলে উৎসবের আমেজ।

বর্ণিল সালে চীনারা নতুন বর্ষটি উদযাপন করেচন্দ্র ক্যালেন্ডারের ওপর নির্ভর করে বলে প্রতিবছর একইদিনে চীনা নববর্ষ হয় না। চন্দ্র এবং রাশিচক্রের ওপর নির্ভর করে সাধারণত জানুয়ারির ২১ তারিখ থেকে ফেব্রুয়ারির ২০ তারিখের মধ্যে পড়ে দিনটি। আলোর ঝলকানি, শব্দের বাজি, আতশবাজি আর ঐতিহ্যগত চীনা সিংহ নৃত্যের মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয় নববর্ষের প্রথম দিনটি।

নববর্ষ শুরুর সন্ধ্যায় বা রাতে চীনা পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে খাবার খান।  তাদের ঘর পরিষ্কার করেন। ঘর থেকে আবর্জনার সঙ্গে দুর্ভাগ্যকেও ছুড়ে ফেলেন।

শিশুদের লাল খামে করে ‘ভাগ্য টাকা’ দেওয়া হয়। যার মানে হচ্ছে সুন্দর ভবিষ্যতের জন্যে দোয়া করে দেওয়া। তবে ইতোমধ্যে কিছু কিশোর লাল খামের অ্যাপস ব্যবহার শুরু করেছে। যেন তাদের আত্মীয়রা অ্যাপসের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে পারে।

চীনাদের প্রতিটি বছরকেই বিভিন্ন প্রাণী প্রতিনিধিত্ব করে। ২০১৮ সালকে বলা হচ্ছে ‘কুকুরের বছর’। প্রতি ১২ বছর অন্তর চীনা রাশিচক্র ঘোরে। যারা ১৯৫৮, ১৯৭০, ১৯৮২, ১৯৯৪, ২০০৬ এবং ২০১৮ সালে জন্মগ্রহণ করেছেন, তারা কুকুর রাশির জাতক হিসেবে চিহ্নিত হবেন।

এশিয়ান জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, আপনার জন্মসাল এবং যে প্রাণীর জাতক আপনি তার ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য ধারণ করেন।

চীনা রাশিচক্রে যে ১২টি প্রাণী রয়েছে, সেগুলো ১২ বছরের আরও ১২ বছরের চক্রে একবার আসে। যেমন, ১৯৫৮ সালের পর এই শতকে প্রথমবারের মতো ২০১৮ সালটি কুকুরের বছর। কুকুর বর্ষে যাদের জন্ম তারা যোগাযোগে যেমন ভালো হন, তেমনি রাশভারী এবং কর্মক্ষেত্রে দায়িত্বশীল হন।

চীনা রাশিচক্রের প্রাণীগুলো হচ্ছে, ইঁদুর, ষাঁড়, বাঘ, খরগোশ, ড্রাগন, সাপ, ঘোড়া, ছাগল, বানর, গৃহপালিত মোরগ, কুকুর এবং শূকর ছানা।

এরমধ্যে ষাঁড়, ঘোড়া, ছাগল, গৃহপালিত মোরগ, শূকরছানা এবং কুকুর চীনারা নিজেরা পালন করেন। আর ইঁদুর, বাঘ, খরগোশ, ড্রাগন, সাপ এবং বানর চীনারা খুবই পছন্দ করেন।

বর্ণিল সালে চীনারা নতুন বর্ষটি উদযাপন করেএই প্রাণীগুলো দুইভাগে বিভক্ত। থাবা বা পায়ের আঙুলের নখের বেজোড় এবং জোড়ের ওপর ভিত্তি করে প্রাণীগুলো ইন এবং ইয়াং এই দুইভাগে বিভক্ত। চীনা রাশিচক্রে বিশ্বাস করা হয় এই প্রাণীগুলো সময়ও বলে দিতে পারে।

তাই রাত ১১টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত ইঁদুরের, ১টা থেকে ৩টা ষাঁড়ের, ৩টা থেকে সকাল ৫টা বাঘের, সকাল ৫টা থেকে সকাল ৭টা খরগোশের, সকাল ৭টা থেকে ৯টা ড্রাগনের, ৯টা থেকে সকাল ১১টা সাপের, ১১টা থেকে ১টা ঘোড়ার, ১টা থেকে দুপুর ৩টা ছাগলের, দুপুর ৩টা থেকে বিকেল ৫টা বানরের, বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা গৃহপালিত মোরগের, সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টা কুকুরের এবং রাত ৯টা থেকে রাত ১১টা শূকর ছানার।

বাংলাদেশ সময়:  ১১২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৮
এমএন/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।