ব্যাঙটির চোখ, নাক, মুখ ও জিহ্বার কোনো অস্তিত্ব নেই। ঘাড়ের অংশটা খুবই পাতলা, মসৃণ টিস্যু দিয়ে আবৃত।
মুণ্ডুহীন ব্যাঙটি আবিষ্কার করেন ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট জিল ফ্লেমিং। তিনি ব্যাঙের ছবি তুলে তা পোস্ট করেন টুইটারে। ফ্লেমিং আশা করেছিলেন, ছবিটি দেখে বিজ্ঞানীরা এর ব্যাখ্যা দিতে পারবেন। কিন্তু ছবিটা দেখে বিস্মিত হয় সাধারণ মানুষ, পাশাপাশি হতবুদ্ধি হতে হয় বিজ্ঞানীদের।
টুইটারে মুণ্ডুহীন ব্যাঙের ছবি দেখে বিশেষজ্ঞরা বিভিন্নভাবে এর ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে অনেকেই এ ব্যাপারে নিশ্চিত যে, জেনেটিক পরিবর্তনের কারণে ব্যাঙটির এমন হাল হয়নি। খাওয়ার জন্য এর কোনো মুখ নেই, এরপরও ব্যাঙটি সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে বিচরণ করছে। অর্থাৎ, ব্যাঙটি মাথা হারিয়েছে বেশিদিন হয়নি।
অনেকে বলছেন, শিকারি প্রাণীর আঘাতে এর মুণ্ডু খোয়া যেতে পারে। ব্যাঙ শীতল রক্তবিশিষ্ট প্রাণী হওয়ায় শীতযাপনের সময় ওই আঘাত সেরে ওঠা সম্ভব।
কেউ কেউ মনে করছেন, ক্ষতিকর পরজীবীর আক্রমণে এমনটা হয়ে থাকতে পারে। একধরনের পরজীবী আছে যারা ব্যাঙের মসৃণ ত্বকের উপর ডিম পাড়ে। ডিমগুলো ফেটে বাচ্চা বের হওয়ার সেগুলো ব্যাঙের ত্বক থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সংগ্রহ করে। এভাবে পরজীবীর আক্রমণে ব্যাঙের মাথা গায়েব হয়ে যাওয়া সম্ভব।
অনেকেই বলেন, মস্তিষ্ক ছাড়াও এভাবে প্রাণীদের বেঁচে থাকার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। ১৯৪৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোর এক খামার মালিক একটি মুরগির শিরশ্ছেদ করার পরও মুরগিটি আশচর্য উপায়ে আরও ১৮ মাস বেঁচে ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪০ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৮
এনএইচটি/এএ