মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) জাপানের উত্তারাঞ্চলীয় দ্বীপ হোক্কাইদোতে গিয়ে নোনাকার হাতে প্রবীণতম মানবের সার্টিফিকেট তুলে দেয় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ।
পরিবারের দাবি, মিষ্টি জাতীয় খাবার ও হটস্প্রিং (গরম বাষ্পীয় গোসল) হলো নোনাকার দীর্ঘায়ুর আসল রহস্য।
নোনাকার নাতনি ইয়োকো জানান, চলাফেরার জন্য তার দাদাকে হুইলচেয়ার ব্যবহার করতে হলেও তার শারীরিক অবস্থা বেশ ভালো। মিষ্টিজাতীয় খাবার তার খুবই পছন্দের। তার আরেকটা পছন্দের কাজ হচ্ছে, হটস্প্রিং-এ বসে বসে খবরের কাগজ পড়া।
১৯৩১ সালে বিয়ে করেন নোনাকা। পাঁচ সন্তানের জনক তিনি।
এরআগে বিশ্বের প্রবীণতম মানবের খেতাবটি ছিল স্পেনের ফ্রান্সিস্কো নুয়েজ ওলিভারের দখলে। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারিতে ১১৩ বছর বয়সে তিনি মারা যাওয়ায় নোনাকাকে দেওয়া হয় এ খেতাব।
গিনেস বুকের স্বীকৃতি পাওয়া এযাবতকালের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তিটি ছিলেন জ্যামাইকার ভায়োলেট ব্রাউন। ২০১৭ সালের জুলাইতে তিনি ১১৭ বছর বয়সে পরলোক গমন করেন।
জাপানকে বলা হয়, পৃথিবীর অন্যতম দীর্ঘায়ুর দেশ। সরকারি হিসাব মতে, ২০১৭ সালে জাপানে ১০০ বা তার চেয়েও বেশি বয়সী নাগরিকের সংখ্যা ৬৮ হাজার।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৮
এনএইচটি/এএ