অতীতে মানুষ দাবি করতো, ভিটামিন বি-৬ সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের ফলে স্বপ্নকে আরও বেশি প্রাণবন্ত করে তোলা যায়। যদিও এ সংক্রান্ত কোনো নিরেট প্রমাণ ছিল না গবেষকদের কাছে।
গবেষকদের নির্দেশ অনুযায়ী তারা ওষুধগুলো খান এবং পরবর্তী পাঁচ দিন ঘুমের মধ্যে দেখা স্বপ্নগুলোর রেকর্ড রাখেন। পাঁচ দিন পর প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ভিটামিন বি-৬ গ্রহণকারীরা সবচেয়ে ভালো স্বপ্ন মনে রাখতে পারছেন।
গবেষক দলের সদস্য ড. ডেনহল্ম অ্যাস্পির মতে, গবেষণার ফলাফলটি চমকপ্রদ। তবে স্বপ্নের সঙ্গে ভিটামিন বি-৬-এর সম্পর্ক জানতে আরও গবেষণার প্রয়োজন।
তিনি বলেন, একজন মানুষ জীবদ্দশায় গড়ে ছয় বছর স্বপ্ন দেখে অতিবাহিত করেন। যদি মানুষ নিজের স্বপ্ন নিজেই নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়, তবে এ থেকে অনেক উপকার পাওয়া সম্ভব। লুসিড ড্রিমের মাধ্যমে মানুষ দুঃস্বপ্ন থেকে পরিত্রাণ পেতে পারে। তাছাড়া বিভিন্ন ফোবিয়া থেকে মুক্তি, রাইটার্স ব্লক কাটিয়ে ওঠা, মোটরগাড়ি চালানোর দক্ষতা বৃদ্ধি, এমনকী বিভিন্ন মানসিক অসুস্থতাও সারিয়ে তোলা সম্ভব।
লুসিড ড্রিম বলতে এমন স্বপ্নকে বোঝায়, যখন মানুষ স্বপ্ন দেখার সময়ও বুঝতে পারে যে সে স্বপ্ন দেখছে। অনেকসময় এরকম মুহূর্তে মানুষ তার স্বপ্নকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
তবে ভিটামিন বি-৬ সাপ্লিমেন্ট চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া উচিত না। কারণ বেশিমাত্রায় তা গ্রহণের ফলে দেহে বিষক্রিয়া দেখা দিতে পারে। ভিটামিন বি-৬ এর নিরাপদ উৎস হিসেবে খাওয়া যেতে পারে মাছ, গরুর মাংস ও আলু।
স্বপ্ন বিষয়ক এ গবেষণার ফলাফলটি প্রকাশ হয় বিশ্ব স্বীকৃত চিকিৎসা বিষয়ক সাময়িকী ‘সেইজ জার্নালে’।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৯ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৮
এনএইচটি/এএ