নিয়ানডারথালদের মস্তিষ্ক নিয়ে গবেষণা চালানোর উদ্দেশ্য- এদের বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা। নিয়ানডারথাল হচ্ছে অনেকটা মানুষের মতোই দেখতে কিছুটা ভিন্নভাবে বিবর্তিত একটি প্রজাতি।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার ডিরেক্টর এবং এই গবেষণা প্রজেক্টের প্রধান অ্যালিসন মোট্রি বলেন, নিয়ানডারথাল আর মানুষ একইসঙ্গে এই পৃথিবীতে বসবাস করত। এখন আমাদের কাছে এদের জেনেটিক নমুনা আছে যা বিকশিত করা সম্ভব।
মোট্রি বলেন, নিয়ানডারথাল ও মানুষের মস্তিষ্কের পার্থক্যই বলে দেয় টিকে থাকার লড়াইয়ে ওদের হেরে যাওয়ার কারণ এবং আমাদের বিজয়ী হওয়ার গল্প। বাস্তবধর্মী নিউরাল নেটওয়ার্কের কারণে মানুষ প্রযুক্তিগত দিক থেকে অনেক এগিয়ে গেছে, অপর দিকে নিয়ানডারথালদের পক্ষে তা সম্ভব হয়নি।
বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যেই গবেষণাগারে ছোট আকৃতির মানব অঙ্গ বিকশিত করতে পেরেছেন। এ অঙ্গগুলোকে বলা হয় ‘অর্গানোয়েড’। নিয়ানডারথালদের মস্তিষ্ক বিকশিত করার জন্য তারা ব্যবহার করেছেন এক প্রকার জিন-এডিটিং যন্ত্র যার নাম ‘সিআরআইএসপিআর’। এর মাধ্যমে একটি অপরিণত স্টেম সেল (কোষ) থেকে একটি পূর্ণাঙ্গ কোষ জন্ম নিতে পারে।
গবেষকরা জানান, এই পদ্ধতিতে একটা অঙ্গ বিকশিত হতে সময় লাগে প্রায় ছয় থেকে আট মাস। নিয়ানডারথালদের মস্তিষ্কটি পুরোপুরি বিকশিত হওয়ার পর এর আকৃতি হবে দশমিক দুই ইঞ্চি। এই মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ সম্ভব নয়, তাই এর আকৃতি আর বাড়বে না। বিকিরণ পদ্ধতিতে তা পুষ্টি লাভ করবে।
অ্যালিসন মোট্রি বলেন, ভবিষ্যতে হয়ত আমরা ল্যাবে বড় আকৃতির অঙ্গ বিকশিত করতে পারব। বর্তমানে কৃত্রিম বায়ো-প্রিন্টেড শিরা ও ধমনী স্থাপনের গবেষণা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১১ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৮
এনএইচটি/জেএম