এর পুরো নাম- আভতোমাত্নি কালাশনিকোভা মডেল-১৯৪৭। এর ডিজাইনার রাশিয়ার মিখাইল কালাশনিকভ।
এটাকে বিশ্বের প্রথম কার্যকর অটোমেটিক রাইফেল বলা হয়। এর জনপ্রিয়তার প্রধান কারণ- সহজ ব্যবহার, নির্ভরতা ও অধিক প্রাণঘাতী। জলে ভিজিয়ে, ধুলায় রেখে, এমনটি এর ওপর দিয়ে রাস্তা মেরামতের রোলার চালালেও এই অস্ত্র আগের মতোই ব্যবহার করা যায়। এটা জ্যাম হয় না, ওভারহিটেড হয় না, অতি গরম বা অতি শীতল আবহাওয়াতেও ভালভাবে কাজ করে। বছরের পর বছর কোনো যত্ন না নিলেও চলে।
মিখাইল কালাশনিকভ ছিলেন সাবেক সোভিয়েত সেনাবাহিনীর একজন লে. জেনারেল। তিনি মার্কিন এম-১ এবং জার্মান এসআইজি-৪৪-এর উন্নত ডিজাইনের কৌশলের সমন্বয়ে একটি স্বয়ংক্রিয় রাইফেল তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। এ উদ্দেশে যৌবনে ইজভেস্ক অস্ত্র কারখানায় ডিজাইন নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাতেন কালাশনিকভ। বিশেষজ্ঞরা বলেন, নির্ভরতার দিক থেকে আজও একে-৪৭ এর ধারে কাছে নেই কোনো অস্ত্র।
কালাশনিকভের একে-৪৭ দুইবছরের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় সোভিয়েত সেনাবাহিনীর মধ্যে। এই রাইফেল ব্যবহারের জন্য খুব বেশি প্রশিক্ষণের প্রয়োজন নেই। মূলত একে-৪৭ এর জন্যেই ভিয়েতনাম যুদ্ধে নাজেহাল হতে হয় মার্কিনবাহিনীর। ব্যবহার সহজ বলে এই অস্ত্রটিই ভালো কাজে দেয় ভিয়েতনামিদের জন্য।
একে-৪৭’কে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী অস্ত্র। কামান, প্লেন হামলা এবং রকেট আক্রমণের তুলনায় এ রাইফেলের গুলিতে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিবছর কালাশনিকভের বুলেটের আঘাতে আড়াই লাখ মানুষের প্রাণ যায়।
একে-৪৭ এর কার্যপদ্ধতি দেখুন ভিডিওতে:
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০১৮
এনএইচটি