১৫ বছর আগে রাজধানী লিমা ঘেঁষে অঞ্চলটিতে আসা কুটিরবাসী পাহাড়ি ঢালুর একটি জায়গাকে সমতল করে এই মাঠ বানিয়ে ফুটবল খেলা শুরু করেন। এখানে যে অধিবাসীরা থাকেন, তারা অধিকাংশই পেরুর দরিদ্র প্রদেশগুলো থেকে এসে বসতি গড়েছেন।
সোমবার থেকে শনিবার এ অঞ্চলের পুরুষরা কাজে ব্যস্ত থাকেন। এসময় নারীরা মাঠটিতে ফুটবল অথবা ভলিবল খেলেন। আর পুরুষরা শুধু রোববার ফুটবল খেলেন। রোববার এ মাঠে উৎসব জমে। খেলার সময় তারা বিভিন্ন জনকে ছদ্মনামে ডাকে। যেমন: ‘বেবিফেস’ ‘শর্টার’। এসময় নারীরা চিচা নামের স্থানীয় এক ধরনের পানীয় বিক্রি করে। পুরুষরা এ পানীয় কিনে পান করে। ৩২ বছর বয়সী প্রধান খেলোয়াড় আয়োজক ভিক্টর অ্যানতোনিও বলেন, ‘নুয়েভা ইউনিয়নের অধিবাসীরা ফুটবল মাঠটিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখে। ’
পেরু জাতীয় দলের অধিকাংশ খেলোয়াড়ই স্বল্প আয়ের পরিবার থেকে উঠে আসা। অ্যানতোনিও আশা প্রকাশ করেন, ‘ভবিষ্যতে এ প্রত্যন্ত এলাকার মাঠ থেকেও হয়তো কেউ জাতীয় দলে খেলবে। এই মাঠ থাকায় আমরা তা ভাবতে পারছি। নয়তো পারতাম না। ’নুয়েভার এ মাঠটি শুধু ফুটবল বা আনন্দের জন্য নয়। বিপদেও এ মাঠটিই তাদের আশ্রয়স্থল। ভূমিকম্প হলে তারা সবাই এ মাঠেই ছুটে আসে। নুয়েভাবাসীর কাছে এই মাঠ যেন তাদের উৎসবস্থল।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৮
এএইচ/এইচএ/