ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ট্রায়াসিক যুগের দৈত্যাকার ডায়নোসর আবিষ্কার

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২২ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৮
ট্রায়াসিক যুগের দৈত্যাকার ডায়নোসর আবিষ্কার ট্রায়াসিক যুগের শেষ প্রান্তে যেমন দেখতে ছিল ইনজেনিয়া প্রাইমা।

সম্প্রতি আবিষ্কৃত একটি ডায়নোসরের দেহাবশেষ ট্রায়াসিক যুগ সম্পর্কে নতুন ধারণা দিচ্ছে গবেষকদের। ইনজেনিয়া প্রাইমা প্রজাতির ২০ কোটি বছর আগের ডায়নোসরটি এর আগে আবিষ্কৃত ট্রায়াসিক যুগের সবচেয়ে বড় ডায়নোসরের চেয়েও তিনগুণ বড়।

বিশালাকৃতির এই ডায়নোসরের দেহাবশেষ আবিষ্কার হয় আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ারসের ১১শ কিলোমিটার পশ্চিমে সান হুয়ান প্রদেশে। সোমবার (৯ জুলাই) ‘ন্যাচার ইকোলজি অ্যান্ড এভ্যুলুশন’ জার্নালে প্রকাশিত হয় গবেষণাপত্রটি।

সান হুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সেসিলিয়া আপালদেত্তি বলেন, আমরা ফসিলগুলো দেখে বুঝতে পেরেছিলাম এটা অবশ্যই ব্যতিক্রম। ডায়নোসরের জীবাশ্মর সন্ধানে খনন কাজ চালাচ্ছেন এক গবেষক।                                         খননস্থল থেকে তৃণভোজী ডায়নোসরটির ঘাড়, লেজ, পায়ের একাধিক হাড়ের সন্ধান পান গবেষকরা। পৃথিবীতে বিশাল আকৃতির ডায়নোসরের আবির্ভাব যে পূর্ববর্তী গবেষণা থেকে প্রাপ্ত টাইমলাইনের অনেক আগে ঘটেছে সেই বিষয়টা স্পষ্ট করে দিচ্ছে এই আবিষ্কার। এর আগে মনে করা হতো, ১৮ কোটি বছর আগে জুরাসিক যুগে দৈত্যাকার ডায়নোসরের আবির্ভাব ঘটেছিল।

২৫ থেকে ২০ কোটি বছর আগের সময়কে ট্রায়াসিক যুগ এবং ২০ থেকে ১৪ কোটি বছর আগের সময়কে জুরাসিক যুগ বলা হয়। ট্রায়াসিক যুগে পৃথিবীর বুকে ডায়নোসরদের পদচারণা শুরু। প্রথম দিকে এদের আকৃতি ছিল বেশ ছোট। পরবর্তী সময়ে শিকারি প্রাণীদের থেকে বাঁচতে বিবর্তনের মাধ্যমে এদের অনেক প্রজাতি দৈত্যাকার ধারণ করে।

গবেষকদের মতে, ইনজেনিয়া পাইমা হচ্ছে প্রথম প্রজাতির ডায়নোসর যারা বিবর্তনের মাধ্যমে বিশাল আকৃতি ধারণ করতে পেরেছিল। সন্ধান পাওয়া হাড়গোড় থেকে জানা যায়, এটি ছিল ছয় থেকে সাত মিটার দৈর্ঘ্যের এক অল্প বয়সী ডায়নোসর। এর ওজন প্রায় ১০ টন যা দুই থেকে তিনটি আফ্রিকান হাতির সমান। এ যুগের একটি পূর্ণবয়স্ক ইনজেনিয়া প্রাইমার দৈর্ঘ্য ১০ মিটার পর্যন্ত হতে পারে।

আর্জেন্টিনার ওই অঞ্চলটিতে ২০০১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত শতাধিক প্রজাতির ডায়নোসরের নমুনা পাওয়া যায়। ট্রায়াসিস যুগে এ অঞ্চলটি ছিল বিস্তির্ণ তৃণভূমি। অসংখ্য প্রজাতির তৃণভোজী ডায়নোসররা বসবাস করতো এখানে।

বাংলাদেশ সময়: ০১১৯ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৮
এনএইচটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।