ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

মোড়াকরির ঐতিহ্যবাহী পালবাড়ি আজ নিঃসঙ্গ

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৮
মোড়াকরির ঐতিহ্যবাহী পালবাড়ি আজ নিঃসঙ্গ মোড়াকরির ঐতিহ্যবাহী পালবাড়ি। ছবি: বাংলানিউজ

হবিগঞ্জ: একসময় কোলাহল আর চঞ্চলতায় ভরে থাকতো বাড়িটি। মানুষের আনাগোনায় মুখরিত হয়ে থাকত প্রতিটিক্ষণ। একদল গেলে পরক্ষণেই প্রাসাদভবনটিতে এসে হাজির হতো আরেক দল।

কিন্তু কালের বিবর্তনে আজ সেই ভবনটি চিরস্তব্ধ। স্থবিরতা আর জীর্ণতা ভর করেছে দালানের সমস্ত অবয়বে।

ভেঙ্গে গেছে এর ছাদ। বৃষ্টির পানি দখল করে নিয়েছে প্রাসাদের মেঝে। ঘরের ভেতর আপনা থেকেই জন্মেছে আগাছার জঙ্গল।

কথা হচ্ছে, হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার মোড়াকরি গ্রামের একসময়ের ধনাঢ্য পরিবারের পালবাড়ির। এর ১২টি রুমে বর্তমানে বিরাজ করে পিনপতন নীরবতা।  

ঐতিহ্যপূর্ণ এ বাড়িটির আলোকচিত্র ধারণ করতে দেখে এগিয়ে আসেন জুয়েল পাল নামের এক যুবক। তিনি পেশায় মৃৎশিল্পী।  

বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ‘এই বাড়িটি আমার দাদুর (দাদা) বাবার সময়কার। তার নাম ছিল রমণ পাল। তিনি ছিলেন এ অঞ্চলের একজন ধনাঢ্য ব্যক্তি। সময়ের হিসেবে এটি ১৯৫০-৬০ দশকের কথা’।  

স্মৃতিমন্থর করে তিনি বলেন, ‘প্রায় ত্রিশ-পঁয়ত্রিশ বছর আগ পর্যন্ত এই প্রাসাদটি ভালোই ছিল। এতদিন পরিত্যক্ত থাকলেও এখনও প্রচণ্ড শক্ত চুনসুরকির এই দালানটি। বাবার মুখে শুনেছি, তার দাদা রমণ পালের ব্যবসায়িক অবস্থা বেশ ভালো ছিল। তৎকালীন সময়ে প্রতিদিন প্রচুর মানুষদের সমাগম ঘটতো বাড়িতে’।  

পারিবারিক ঐতিহ্যের প্রসঙ্গ টেনে জুয়েল বলেন, ‘এ দালানে এখন কেউ থাকে না। আমরাও নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করি। আমাদের পারিবারিক ঐতিহ্যের সাক্ষী হিসেবে এ বাড়িটিকে এখনও আঁকড়ে রয়েছি’।  

এই বাড়িটি মেরামত করতে যত টাকা প্রয়োজন তা দিয়ে নতুন একটি বাড়ি অনায়াসে তৈরি করা যায়। ফলে পরিবারের কেউই আর এই বাড়িটি নতুন করে মেরামত বা পুনঃসংস্কার করতে আগ্রহী নয় বলে জানান জুয়েল।   

বাংলাদেশ সময়: ০০০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৮
বিবিবি/এনএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।