জানা যায়, সেমুলিকি ন্যাশনাল পার্কের গভীর অরণ্যে মোশন-সেন্সর ক্যামেরার সাহায্যে এই অ্যান্টিলোপের ছবি ধারণ করা হয়। আফ্রিকার এই প্রাচীন বনাঞ্চলটিতে শত শত প্রজাতির প্রাণী ও পাখির দেখা মেলে।
জরিপ কর্মকর্তা স্টুয়ার্ট নিক্সন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এতো বড় একটা স্তন্যপায়ী এতোদিন মানুষের চোখে ধড়া পড়েনি দেখে আমরা বেশ অবাক হয়েছি।
জানা যায়, বংগোরা খুব লাজুক প্রকৃতির। কঙ্গো ও উগান্ডার রেইনফরেস্টে এদের বিচরণ। এই অ্যান্টিলোপের চামড়া লালচে-বাদামী এবং মাথায় লম্বা শিং।
গবেষকরা মনে করেন ওই অঞ্চলে এমন আরও অনেক প্রজাতি রয়েছে যাদের এখনও আবিষ্কার করা বাকি। গবেষক দলের প্রধান স্কট উইলসন বলেন, পৃথিবীতে জনহীন এলাকা খুব কমই অবশিষ্ট আছে। তবে এটা ভেবে ভালো লাগছে যে, পৃথিবীতে এখনও এমন জায়গা আছে যেখানে নতুন প্রজাতির দেখা পাওয়া সম্ভব হয়।
বর্তমানে বিশ্বের কোনো চিড়িয়াখানায় নিম্নভূমির বংগো নেই। তাই প্রজাতিটি সংরক্ষণের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৮
এনএইচটি