তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
১০ ডিসেম্বর ২০১৮, সোমবার। ২৬ অগ্রহায়ণ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনা
• ১৮১৭- মিসিসিপি ২০তম অঙ্গরাজ্য হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত হয়।
• ১৮৬৮- বিশ্বের প্রথম ট্রাফিক বাতি বসানো হয় লন্ডনের প্যালেস অব ওয়েস্টমিনস্টারের সামনে। লাল ও সবুজ গ্যাস বাতি ছিল সেগুলো।
• ১৮৮৪- মার্ক টোয়েনের বর্ণবাদবিরোধী উপন্যাস ‘অ্যাডভেঞ্চার অব হাকলবেরি ফিন’ প্রথম প্রকাশিত হয়।
• ১৮৯৮- স্পেন থেকে কিউবা স্বাধীনতা অর্জন করে।
• ১৯০১- আলফ্রেড নোবেলের অন্তিম ইচ্ছা অনুযায়ী নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়।
• ১৯০২- তাসমানিয়ায় (অস্ট্রেলিয়া) নারীরা ভোটাধিকার পায়।
• ১৯০৬- যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্ট প্রথম আমেরিকান হিসেবে নোবেল পুরস্কার পান।
• ১৯৪৮- জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ বিশ্ব মানবাধিকার ঘোষণা দেয় এবং মানুষের ব্যক্তিগত ও সামাজিক অধিকারের বিষয়টি অনুমোদন করে। এই দিন থেকেই বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন করা শুরু হয়।
• ১৯৭১- সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন নিখোঁজ হন।
• ২০০৭- ক্রিস্টিনা ফর্নান্দেজ আর্জেন্টিনার প্রথম নির্বাচিত নারী প্রেসিডেন্ট হন।
জন্ম
• ১৮১৫- কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ধারণার প্রবর্তক অ্যাডা লাভলেস।
• ১৮৩০- বিখ্যাত মার্কিন কবি এমিলি ডিকেনসন।
• ১৮৭০- স্বনামধন্য বাঙালি ইতিহাসবিদ যদুনাথ সরকার। তিনিই প্রথম মীর্জা নাথান রচিত বাহারিস্তান-ই-গায়বীর পাণ্ডুলিপি ফ্রান্সের প্যারিসে অবস্থিত জাতীয় গ্রন্থাগারে খুঁজে পান এবং এ বিষয়ে বিভিন্ন জার্নালে বাংলা ও ইংরেজিতে প্রবন্ধ লিখে বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
• ১৮৮৮- ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম তরুণ বিপ্লবী প্রফুল্ল চাকী।
• ১৮৯১- নোবেলজয়ী সুইডিশ নারী কবি ও নাট্যকার নেলি সাকস।
• ১৯২৯- বিখ্যাত বাংলাদেশি সুরকার ও সংগীত পরিচালক সমর দাস। তিনি ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম সংগঠক ও পরিচালক।
মৃত্যু
• ১১৯৮- আরব-আন্দালুসীয় দার্শনিক ইবনে রুশদ।
• ১৮৯৬- সুইডিশ বিজ্ঞানী ও নোবেল পুরস্কার প্রবর্তক আলফ্রেড নোবেল।
• ১৯৬৮- চীনের বিখ্যাত নাট্যকার থিয়ান হান।
• ১৯৭১- বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন। তিনি ১৯৩৫ সালে নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৩ সালে রুহুল আমিন জুনিয়র মেকানিক্যাল হিসেবে পাকিস্তান নৌবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৭১ সালের মার্চে রুহুল আমিন চট্টগ্রামে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর একদিন সবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে তিনি বের হয়ে যান নৌঘাঁটি থেকে। পালিয়ে সীমান্ত পার হয়ে চলে যান ত্রিপুরা। যোগ দেন দুই নম্বর সেক্টরে। মেজর শফিউল্লাহর নেতৃত্বে দুই নম্বর সেক্টরে তিনি সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং স্থলযুদ্ধের বিভিন্ন অভিযানে যোগ দেন। ১০ ডিসেম্বর খুলনা শিপইয়ার্ডের কাছে পাকিস্তানি যুদ্ধ প্লেন থেকে মুক্তিবাহিনীর গানবোট ‘পদ্মা’য় বোমাবর্ষণ করে। ‘পদ্মা’র প্রধান ইঞ্জিনরুমের আর্টিফিসার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন রুহুল আমিন। গোলা সরাসরি ‘পদ্মা’র ইঞ্জিন রুমে আঘাত করে। কিন্তু অসীম সাহসী রুহুল আমিন তারপরও চেষ্টা চালিয়ে যান ‘পলাশ’কে বাঁচানোর। তবে ইঞ্জিন বিকল হয়ে আগুন ধরে যায় এবং গোলার আঘাতে রুহুল আমিনের ডান হাতটি সম্পূর্ণ উড়ে যায়। অবশেষে পলাশের ধ্বংসাবশেষ পেছনে ফেলেই আহত রুহুল আমিন ঝাঁপিয়ে পড়েন রূপসা নদীতে। প্রাণশক্তিতে ভরপুর এ যোদ্ধা একসময় পাড়েও এসে পৌঁছান। কিন্তু ততক্ষণে সেখানে রাজাকারের দল অপেক্ষা করছে তার জন্য। আহত এ বীর সন্তানকে তারা বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে রূপসার পাড়ে।
• ১৯৮২- ইরানের বিশিষ্ট লেখক ও অনুবাদক আলি আসগর সুরূশ।
• ১৯৯৮- চীনের বিখ্যাত পারমাণবিক পদার্থবিদ ওয়াং কানছাং।
বাংলাদেশ সময়: ০০১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৮
টিএ/