তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
২৮ নভেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার। ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। ৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৪১ হিজরি। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনা
১৪৪৩- সেকেন্দার বেগ তার বাহিনী নিয়ে মধ্য আলবেনিয়ার খ্রুজ অঞ্চল জয় করেন ও প্রথমবারের মতো আলবেনিয়ার পতাকা উত্তোলন করেন।
১৫২০- প্রথম ইউরোপিয়ান নাবিক হিসেবে ফার্ডিনান্ড ম্যাগেলান আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে প্রবেশ করেন।
১৬৬০- ইংল্যান্ডে রয়্যাল সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৬৭৬- ভারতের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত তখনকার দিনের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা পণ্ডিচেরি বন্দর ফরাসিরা দখল করে নেন।
১৮১৪- লন্ডনের টাইমস পত্রিকা প্রথম স্বয়ংক্রিয় মেশিনে ছাপা হয়।
১৯৭১- ইরানের তিনটি দ্বীপ আবু মুসা, তাম্বে বোযোর্গ, তাম্বে কুচাক থেকে ব্রিটিশ সেনারা চলে যাবার পর ইরান ওই তিনটি দ্বীপের ওপর নিজেদের শাসন প্রতিষ্ঠা করেন।
জন্ম
১১১৮- গ্রিক বাইজানটাইন সম্রাট ম্যানুয়েল কমনেনাস।
১৭৫৭- ব্রিটিশ কবি, চিত্রশিল্পী ও মুদ্রাকর উইলিয়াম ব্লেক।
জীবদ্দশায় যথেষ্ট স্বীকৃতি না পেলেও বর্তমানে তাকে রোমান্টিক যুগের কবিতা এবং চিত্রশিল্পের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের একজন বিবেচনা করা হয়। খেয়ালি মেজাজ ও অনন্য দৃষ্টিভঙ্গির কারণে সমসাময়িকদের অনেকে তাকে মানসিকভাবে অসুস্থ ভাবতেন। কিন্তু পরবর্তী যুগের সমালোচকরা তার প্রকাশভঙ্গী ও সৃজনশীলতা এবং তার লেখা ও ছবির দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক অন্তঃসার দেখে মুগ্ধ হন। তার ছবি ও কবিতাকে রোমান্টিক বা প্রাক-রোমান্টিক আন্দোলনে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। ১৮২৭ সালের ১২ আগস্ট লন্ডনে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
১৮২০- জার্মান সমাজবিজ্ঞানী, লেখক, দার্শনিক, মার্কসবাদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ফ্রেডরিখ অ্যাঙ্গেলস।
১৮৯৪- রসায়নবিদ ড. পুলিন বিহারী সরকার।
১৯৩১- শিশু সাহিত্যিক ও সাংবাদিক গোলাম রহমান।
১৯৪৩- বাংলাদেশের খ্যাতনামা চিত্রকর ও কার্টুনিস্ট রফিকুন নবী। বিখ্যাত টোকাই নামক কার্টুন চরিত্রটি তার অনবদ্য সৃষ্টি।
মৃত্যু
১০৫৮- পোল্যান্ডের ডিউক কেজিমিয়ের্জ।
১৯৫৪- ইতালিয়ান পদার্থবিদ এনরিকো ফের্মি।
১৯৬২- সংগীতশিল্পী ও সুরকার কৃষ্ণচন্দ্র দে।
১৯৯৯- জাতীয় অধ্যাপক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবী আবদুর রাজ্জাক।
১৯১৪ সালে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার পারাগ্রামে তার জন্ম। তার অগাধ পাণ্ডিত্য ছিল অর্থনীতি, রাজনীতি, সাহিত্য, সংস্কৃতি, সমাজবিজ্ঞান, ইতিহাস, বিজ্ঞান, ধর্মসহ নানা বিষয়ে। তাকে বলা হতো ‘শিক্ষকদের শিক্ষক’ এবং ‘চলমান বিশ্বকোষ’। আবদুর রাজ্জাক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। পরে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র প্রভাষক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন ১৯৭৫ সালে। ওই বছরেই সরকার তাকে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে মনোনীত করে। তার দু’বছর আগে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ডি’লিট ডিগ্রি দেয়। এ জ্ঞানতাপস অল্প কিছু প্রবন্ধ ছাড়া কিছুই রচনা করেননি। তার অনুগামীদের মধ্যে শুধু বুদ্ধিজীবী নয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ অনেক রাজনৈতিক নেতাও ছিলেন। স্বাধীনতাপূর্ব ও স্বাধীনতাত্তোর বুদ্ধিজীবীদের বড় অংশ সরাসরি তার কাছ থেকে জ্ঞানগত সাহায্য পেয়েছেন। শ্রেণিকক্ষের ছাত্র না হয়েও তারা তাকে ‘স্যার’ বলে সম্বোধন করতেন এবং লেখালেখিতে তা উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৯
টিএ