ঢাকা, রবিবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ১২ মে ২০২৪, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

মহাত্মা গান্ধী-জহির রায়হানের প্রয়াণ

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২০
মহাত্মা গান্ধী-জহির রায়হানের প্রয়াণ

ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

৩০ জানুয়ারি ২০২০ বৃহস্পতিবার। ১৬ মাঘ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৯৩৩- জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে অ্যাডলফ হিটলার ক্ষমতা গ্রহণ করেন।
১৯৭২- কমনওয়েলথ থেকে পাকিস্তানের নাম প্রত্যাহার।
১৯৮২- প্রথম কম্পিউটার ভাইরাসের কোড ‘এল্ক ক্লোনার’ লেখেন রিচার্ড স্ক্রেন্টা। ৪০০ লাইন দীর্ঘ এ কোড অ্যাপল কম্পিউটারের বুট প্রোগ্রাম ধ্বংস করে দেয়।
১৯৮৯- আফগানিস্তানের কাবুলে মার্কিন দূতাবাস বন্ধের ঘোষণা।
১৯৯৪- পিটার লেকো সর্বকনিষ্ঠ গ্রান্ডমাস্টারের মর্যাদা পান।
২০০০- আইভোরি কোস্টের উপকূলে আটলান্টিক মহাসাগরে কেনিয়া এয়ারওয়েজের ফ্লাইট ৪৩১ বিধ্বস্ত হয়ে ১৬৯ জনের মৃত্যু।

জন্ম
১৮৮২- যুক্তরাষ্ট্রের ৩২তম রাষ্ট্রপতি ফ্রাংকলিন ডেলানো রুজভেল্ট।
১৯৬২- জর্ডানের চতুর্থ বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ।
১৯৮০- মার্কিন অভিনেতা উইল্মার ভালদারামা।

মৃত্যু
১৯৪৮- ভারতের অন্যতম প্রধান রাজনীতিবিদ, স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রগামী ব্যক্তিদের একজন ও প্রভাবশালী নেতা মহাত্মা গান্ধী।

তার জন্ম ১৮৬৯ সালের ২ অক্টোবর। তিনি ছিলেন সত্যাগ্রহ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। এর মাধ্যমে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে জনসাধারণের অবাধ্যতা ঘোষিত হয়েছিল। এ আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল অহিংস মতবাদ বা দর্শনের ওপর এবং এটি ছিল ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম চালিকা শক্তি। ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ভারত সরকারিভাবে মহাত্মা গান্ধীকে দেশটির জাতির জনক হিসেবে ঘোষণা করে। ভারতে প্রতিবছর ২ অক্টোবর ‘গান্ধী জয়ন্তী’ হিসেবে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় ছুটির দিন পালিত হয়। জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ২ অক্টোবরকে ‘আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

১৯৭২- প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক, ঔপন্যাসিক ও গল্পকার জহির রায়হান।

তিনি ১৯৩৫ সালের ১৯ আগস্ট বর্তমান ফেনী জেলার অন্তর্গত মজুপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের পর তিনি তার পরিবারের সঙ্গে কলকাতা থেকে বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) স্থানান্তরিত হন। তিনি ১৯৫৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯২ সালে স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার। ১৯৭৭ সালে একুশে পদকসহ ১৯৭১ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান তিনি।

১৯৬১ সালে তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘কখনও আসেনি’ মুক্তি পায়। এরপর একের পর এক তার নির্মিত চলচ্চিত্র মুক্তি পেতে থাকে। সেসব হলো- ‘কাজল’, ‘কাঁচের দেয়াল’, ‘বেহুলা’, ‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘আনোয়ারা’, ‘সঙ্গম’ এবং ‘বাহানা’। জীবন থেকে নেয়া ছবিতে প্রতীকী কাহিনীর মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের স্বৈরাচারী শাসনকে চিত্রিত করা হয় এবং জনগণকে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে উদ্বুদ্ধ করা হয়।

তিনি ‘লেট দেয়ার বি লাইট’ নামে একটি ইংরেজি ছবি নির্মাণ শুরু করেন। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ায় তিনি তা শেষ করতে পারেননি। ১৯৭১-এর ২৫ মার্চের পর তিনি কলকাতায় যান। সেখান থেকে পাকিস্তানি সামরিক জান্তার গণহত্যার চিত্র সংবলিত স্টপ জেনোসাইড নির্মাণ করেন। ছবিটি পৃথিবীজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে।

জহির রায়হানের উর্দু ছবি সঙ্গম ছিল পাকিস্তানের প্রথম রঙিন ছবি। তার অপর উর্দু ছবি বাহানা ছিল সিনেমাস্কোপ। তিনি কাঁচের দেয়াল ছবির জন্য অনেক পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৬১ সালে তিনি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী সুমিতা দেবীর সঙ্গে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন এবং ১৯৬৮ সালে অপর চলচ্চিত্র অভিনেত্রী সুচন্দাকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২০
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।