ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

খুচরায় লাভ হলেও লোকসানে ফুলের পাইকারি বাজার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০
খুচরায় লাভ হলেও লোকসানে ফুলের পাইকারি বাজার

ঢাকা: পহেলা ফাল্গুন আর ভালোবাসা দিবস ছিলো একই দিনে। তার ওপর ছিলো বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান। তাই বেশি বিক্রির আশায় চড়া দামেই বেশি পরিমাণে ফুল মজুদ করেছিলেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। কিন্তু সে অনুযায়ী বিক্রি হয়নি। ফলে লোকসানে পড়েছেন ফুলের পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তবে খুচরা বাজারে তেমন প্রভাব পড়েনি। তাদের মুখে চওড়া হাসিই দেখা গেছে।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীতে ফুলের ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় এবার উৎপাদন কম ছিল।

আর একইদিনে দু’টি উৎসব থাকায় খুচরা বাজারে চাহিদা বেশি হওয়ার ধারণা করেছিলেন তারা। ফলে চাষিদের কাছ থেকে বেশি দামে বেশি পরিমাণে ফুল কিনেছিলেন। কিন্তু উৎসব শেষ হলেও চাহিদা কম থাকায় অনেক ফুল মজুদই রয়ে গেছে।

তারা বলছেন, একেক জন ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা করে লোকসান দিয়ে ফেলেছেন। আর লাভবান হয়েছেন চাষিরা।

আগারগাঁওয়ের ফুলের পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ী মো. আকাশ বলেন, গোলাপে লস হয়েছে সবচেয়ে বেশি। প্রতি হাজার গোলাপ ১৩ হাজার টাকায় কিনতে হলেও বিক্রি করতে হয়েছে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকায়। তার কাছে এখনো তিন হাজার গোলাপ রয়ে গেছে।

আতিক নামের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, দু'টি উৎসব একইদিন হওয়ায় ব্যবসা আরও কম হয়েছে। আলাদা দিনে হলে বিক্রি বেশি হতো। কিন্তু আমাদের ধারণা উল্টো ছিল। যে কারণে লোকসান হয়েছে।

তবে শাহবাগের খুচরা দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের ব্যবসা ভালো হয়েছে। ১০ টাকার গোলাপ তারা ৩০ টাকা পিসেও বিক্রি করেছেন।

মো. ইলিয়াছ নামের এক খুচরা বিক্রেতা বলেন, এবার গোলাপ একটু কম বিক্রি হয়েছে। দু'টি দিবস একসঙ্গে পালন হওয়ায় ফুল তুলনামূলক কম বিক্রি হয়েছে। তবে লোকসান হয়নি। আলাদা দিনে উৎসব হলে দু’দিনই বিক্রি হতো। এতে লাভ আরও বেশি হতো।

সুজন জানান, গোলাপ পাইকারি বাজার থেকে কেনা হয়েছে ১০ থেকে ১২ টাকায়, বিক্রি হয়েছে ১৫ থেকে ২৫-৩০ টাকা। রজনীগন্ধার স্টিক কেনা হয়েছে ৪ থেকে ৫ টাকায়, বিক্রি হয়েছে ৭ থেকে ৮ টাকায়। গাঁদা ফুলের মালা ৮ থেকে ১০ টাকায় কিনে বিক্রি হয়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়।

এদিকে কাঁচা ফুলের বাজারকে আর্টিফিসিয়াল ফুলের বাজার হুমকির মুখে ফেলছে বলেও মন্তব্য করেছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের মতে, বিয়ে কিংবা যেকোনো সামাজিক উৎসবে আগে কাঁচা ফুলের বিকল্প ছিল না। কিন্তু এখন সেটা দখল করে নিচ্ছে আর্টিফিসিয়াল ফুল। ফলে সভা-সেমিনার-অনুষ্ঠানে তাদের কদর কমে গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২০
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।