ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রয়াণ

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০১ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২০
ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রয়াণ

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানব সভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।

ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এইদিন’।

০৪ মার্চ ২০২০, বুধবার। ১৮ ফাল্গুন ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এইদিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১১৫২- ফ্রেডেরিক বারবারোসা জার্মানির রাজা হন।
১৬৬৫- ইল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় চার্লস নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন।
১৭৮৪- ফ্রান্সিস গ্লাডুইনের সম্পাদনায় ‘ক্যালকাটা গেজেট’ প্রথম প্রকাশিত হয়।
১৭৮৯- মার্কিন সংবিধান কার্যকর হয়।
১৮৪৮- অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে হাঙ্গেরির স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু হয়।
১৯৫১- নয়াদিল্লিতে প্রথম এশিয়ান গেমস শুরু।
১৯৭০- ভূমধ্যসাগরে ৫৭ যাত্রীসহ একটি ফরাসি ডুবোজাহাজ নিখোঁজ।
১৯৭১- রেডিও পাকিস্তান ঢাকার পরিবর্তে ঢাকা বেতার কেন্দ্র নামকরণ করা হয়।
১৯৭২- স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম ১ টাকা ও ১০০ টাকার নোট চালু করা হয়।
১৯৯১- ইরাকে কুর্দি বিদ্রোহ শুরু।

জন্ম
১৮৫৬- ভারতীয় কবি তরু দত্ত। তিনি ইংরেজি এবং ফরাসি ভাষায় কাব্য রচনা করতেন।
১৯৩২ - গ্র্যামি পুরস্কার জয়ী দক্ষিণ আফ্রিকান গায়িকা মিরিয়াম মাকেবার।
১৯৬৫- বাংলাদেশি লেখক, নাট্যকার ও সাংবাদিক আনিসুল হক।

মৃত্যু
১৫৫২- দ্বিতীয় শিখ গুরু অঙ্গদে।
১৮৫২- রুশ লেখক নিকোলাই গোগোল।
১৯২৫- বাঙালি নাট্যকার, সংগীতস্রষ্টা, সম্পাদক ও চিত্রশিল্পী জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর।
তার জন্ম কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে। স্বকীয় প্রতিভা ছাড়াও অন্য প্রতিভাবানদের খুঁজে বের করার বিরল ক্ষমতা ছিল তার মধ্যে। তিনি তার ছোটভাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিভার বিকাশে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ছোটবেলা থেকেই জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ছিলেন থিয়েটারের প্রতি আগ্রহী। তিনি একটি পারিবারিক নাট্যদল গঠন করেন। প্রথম জীবনে নাট্যাভিনয়ে সাফল্য তাকে নাট্যকার হওয়ার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ করে তোলে। তার ঐতিহাসিক নাটকগুলো হলো- পুরবিক্রম (১৮৭৪), সরোজিনী (১৮৭৫), অশ্রুমতি (১৮৭৯), স্বপ্নময়ী (১৮৮২)। হাস্যরসাত্মক নাটকগুলো হলো- কিঞ্চিত জলযোগ (১৮৭৩), এমন কর্ম আর করব না (১৮৭৭), হঠাৎ নবাব (১৮৮৪), অলীক বাবু (১৯০০)। অনুবাদগুলো হলো- কালিদাসের অভিজ্ঞান শকুন্তলম ও মালতী মাধবা, সুদ্রকের মৃচ্যতিকা, মার্কাস অরেলিয়াসের মেডিটেশনস, শেক্সপিয়ারের জুলিয়াস সিজার, বাল গঙ্গাধর তিলকের গীতারহস্য। অঙ্কন ও স্কেচ করার দিকে আগ্রহী ছিলেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ। নিজের পরিবারের অনেক সদস্যের পোর্ট্রেট তিনি অঙ্কন করেন। তার অঙ্কিত রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন প্রকারের স্কেচ আছে। তার প্রায় ২০০০টি স্কেচ রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এর জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। ১৮৬৯ থেকে ১৮৮৮ সাল পর্যন্ত জ্যোতিরিন্দ্রনাথ আদি ব্রাহ্ম সমাজের সম্পাদক ছিলেন। তিনি ব্রাহ্ম সংগীতকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে আদি ব্রাহ্মসমাজ সংগীতবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।

১৯৪১ - মার্কিন ঔপন্যাসিক শের উড অ্যান্ডারসন।
১৯৬৩- মার্কিন চিকিৎসক ও কবি কার্লোস উইলিয়াম।
১৯৬৭ - ইরানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ ডক্টর মোহাম্মাদ মোসাদ্দেক।
১৯৭৬ - বাঙালি সাহিত্যিক ও চলচ্চিত্র পরিচালক শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়।
১৯৭৮ - সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও সম্পাদক আবুল কালাম শামসুদ্দীন।
১৮৯৭ সালের ৩ নভেম্বর ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশালে জন্ম নেওয়া আবুল কালাম শামসুদ্দীন বিশ শতকের বাংলা সাংবাদিকতার দিকপালদের অন্যতম নক্ষত্র ছিলেন। কুসংস্কার ও গোঁড়ামিবিরোধী এবং মানবতাবাদী এই সাংবাদিক ছিলেন পাকিস্তানের শাসকদের স্বৈরাচারী চরিত্র ও দুর্নীতির আকুণ্ঠ প্রতিবাদী। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি দু’একটি গল্প-উপন্যাস লিখলেও ছিলেন মূলত প্রাবন্ধিক এবং সূক্ষ্মদর্শী ও নির্ভীক সাহিত্য সমালোচক। তার সুদীর্ঘ সাহিত্যিক ও সাংবাদিক জীবনে তিনি মাতৃভাষা বাংলায় আত্মনিবেদিত ছিলেন ।

১৯৮৩- পশ্চিমবঙ্গের বাংলা চলচ্চিত্রের অত্যন্ত জনপ্রিয় অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে হাস্যকৌতুকময় অভিনয়ের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন দিকপাল। তার জন্ম বাংলাদেশের মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে ১৯২০ সালের ২৭ আগস্ট। ঢাকার সেন্ট গ্রেগরিস হাইস্কুল এবং জগন্নাথ কলেজে শিক্ষাগ্রহণ শেষ করে কলকাতায় যান ১৯৪১ সালে। সেখানে তিনি আয়রন অ্যান্ড স্টিল কোম্পানি নামে একটি সরকারি অফিসে যোগ দেন এবং বালিগঞ্জের অশ্বিনী দত্ত রোডে তার বোনের কাছে দু’বছর থাকার পর টালিগঞ্জের চারু অ্যাভিন্যু-তে বসবাস শুরু করেন।

ভানুর অভিনয়-জীবন শুরু হয় ১৯৪৭ সালে 'জাগরণ’ ছবির মাধ্যমে। সে বছরই ‘অভিযোগ’ নামে তার আরেকটি ছবি মুক্তি পায়। এরপর ধীরে ধীরে ছবির সংখ্যা বাড়তে থাকে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘মন্ত্রমুগ্ধ’ (১৯৪৯), ‘বরযাত্রী’ (১৯৫১) এবং ‘পাশের বাড়ি’ (১৯৫২)। ১৯৫৩ সালে মুক্তি পায় তার ‘সাড়ে চুয়াত্তর’। আর বলা যেতে পারে- এই ছবির মাধ্যমেই ভানু দর্শকদের নিজের অভিনয়ের গুণে আকৃষ্ট করা শুরু করেন।

২০১২- মার্কিন অভিনেতা এবং লেখক জন টেলর।

বাংলাদেশ সময়: ০০০১ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২০
টিএ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।