ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

ফিচার

শামসুর রাহমানের জন্ম, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রয়াণ

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২০
শামসুর রাহমানের জন্ম, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রয়াণ শামসুর রাহমান ও সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে।

প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়— যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানব সভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।

ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

২৩ অক্টোবর ২০২০, শুক্রবার। ০৭ কার্তিক ১৪২৭ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৫২০- রাজা চতুর্থ কার্লোসের জার্মান সাম্রাজ্যের শাসনভার গ্রহণ।
১৯৩৫- ম্যাকেঞ্জি কিং তৃতীয়বারের জন্য কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
১৯৭৭- জীবাশ্মবিদ এলসো বারঘুম আনুমানিক ৩৪০ কোটি বছরের পুরনো এককোষী প্রাণীর ফসিল আবিষ্কার করেন। বলা হয় এটি পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন প্রাণের গঠন।
১৯৯৮- ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনির যুদ্ধপরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ‘ল্যান্ড ফর পিস’ চুক্তি সই।

জন্ম
১৯২৯- বাঙালি লেখক ও কবি শামসুর রাহমান।

তার মোট গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় একশ। কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ৬৬। প্রথম গ্রন্থ ‘প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে’। এছাড়াও রৌদ্রকরোটিতে, নিরালোকে দিব্যরথ, বিধ্বস্ত নীলিমা, বন্দি শিবির থেকে, ফিরিয়ে নাও ঘাতক কাঁটা, ইকারুসের আকাশ, উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ প্রভৃতি গ্রন্থও তার। সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য পেয়েছেন আদমজী পুরস্কার (১৯৬৩), বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬৯), একুশে পদক (১৯৭৭) এবং স্বাধীনতা দিবস পদক (১৯৯১)। ভারতের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডি লিট উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। ইংরেজিসহ একাধিক বিদেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে তার কবিতা।

১৯৪১- প্রখ্যাত বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম।

মৃত্যু
১৮৬৭- জার্মান ভাষাবিজ্ঞানী ফ্রানৎস বপ।
২০০৫- বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী ও ভাস্কর আবদুর রাজ্জাক।
২০১২- ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।

বিংশ শতকের শেষ দিকের একজন প্রথিতযশা বাঙালি সাহিত্যিক তিনি। ২০১২ সালে মৃত্যুর পূর্ববর্তী চার দশক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা হিসেবে সর্ববৈশ্বিক বাংলা ভাষা-ভাষী জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাপকভাবে পরিচিত ছিলেন। বাংলাভাষী এই ভারতীয় সাহিত্যিক একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, সম্পাদক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট হিসেবে অজস্র স্মরণীয় রচনা উপহার দিয়েছেন। তিনি আধুনিক বাংলা কবিতার জীবনানন্দ-পরবর্তী পর্যায়ের অন্যতম প্রধান কবি। একই সঙ্গে তিনি আধুনিক ও রোমান্টিক কবি। তার কবিতার বহু পংক্তি সাধারণ মানুষের মুখস্ত। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ‘নীল লোহিত’, ‘সনাতন পাঠক’ ও ‘নীল উপাধ্যায়’ নামেও দারুণভাবে বিখ্যাত।

বাংলাদেশ সময়: ০০০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২০
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।