ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

বসুন্ধরা সিটির ‘টগি ওয়ার্ল্ড’: শিশুদের আনন্দ ভুবন

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১
বসুন্ধরা সিটির ‘টগি ওয়ার্ল্ড’: শিশুদের আনন্দ ভুবন

ঢাকা: রাজধানীর বসুন্ধরা সিটিতে অবস্থিত ইনডোর থিম পার্ক টগি ওয়ার্ল্ড যেন শিশুদের আপন ভুবন হয়ে উঠেছে কেউ নাগরদোলায় চড়ছে।

কেউ ছুটছে ঘোড়ার পিঠে একজন গাড়ি চালাচ্ছে, তো আরেকজন গেম খেলছে। এ ভুবনে পা রাখলেই খেলাধুলায়, আনন্দ-বিনোদনে মগ্ন হয় শিশুরা।

শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ছুটির দিন পার্কটির আট ও নয়তলা ঘুরে দেখা যায়, শিশুদের ভিড়ে টগি ওয়ার্ল্ড পরিপূর্ণ। করোনা ভাইরাসের মধ্যেও নিরাপদ পরিবেশে শিশুদের নিয়ে এ বিনোদনকেন্দ্রে আসতে পেরে অভিভাবকরাও খুশি।

১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে টগি ওয়ার্ল্ডে চলছে বিশেষ ছাড়। প্রবেশমূল্য ছাড়াই ঢোকা যাচ্ছে টগি ওয়ার্ল্ডে। মঙ্গলবার ছাড়া প্রতিদিন খোলা। সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া অন্য দিনগুলোয় চারশ’ টাকায় অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য উপভোগ করা যাবে যেকোনো রাইড। সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিনে প্রবেশমূল্য পাঁচশ’ টাকা। টগি ওয়ার্ল্ড প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকে। তবে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন খোলা থাকে বেলা ১১টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত।

বসুন্ধরা সিটির প্রায় ৩৭ হাজার বর্গফুট আয়তনের দু’টি বিশাল ফ্লোর নিয়ে সাজানো টগি ওয়ার্ল্ড করোনার কারণে গত বছরের ১৯ মার্চ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ৯ মাস ১১ দিন পর জানুয়ারিতে এটি ফের খুলে দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার কথা হয় এক অভিভাবকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকায় সব জায়গায় যাওয়া যায় না। করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকায় শিশুদের একঘেয়েমি কাটাতে, সুস্থ বিনোদনের জন্য বাচ্চাদের এখানে নিয়ে এসেছেন। ’

পার্কটিতে নাগরদোলার মতো মিনি ফেরিস হুইল রয়েছে। আছে মিনি টাওয়ার। এছাড়া বাম্পার কার, লিটল প্লেনসহ ১৫টি আকর্ষণীয় রাইড, ৪৩টি গেমস এবং কিডস ও ভিআইপি বোলিং রয়েছে। রয়েছে গেম-জোন। আছে ৫০ জন শিশু-কিশোরের ধারণক্ষমতার একটি পার্টি রুম। রয়েছে আকর্ষণীয় মাদার রুমও। এখানে আছে সফট প্লে-জোন, যা শিশুদের মানসিক বিকাশে সহায়তা করে। চার বা তার কম বয়সী শিশুদের জন্য রয়েছে টডলার প্লে-জোন।

কলাবাগান থেকে দুই সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন হোসেন। তিনি বলেন, ‘বাচ্চাদের একটু বাইরে ঘুরতে নিয়ে এলাম। স্কুল বন্ধ, আর সব জায়গায় যাওয়াও নিরাপদ না। তাই এখানে আসা। শিশুরা ঘরবন্দি হয়ে শুধু মোবাইল-গেম নির্ভর হয়ে পড়ছে। ওদের খেলাধুলাও খুব দরকার। ’

নাগরদোলা থেকে নামার পর সাত বছরের রাফসান বলল, ‘খুব মজা পেয়েছি। নিচে নামার সময় একটু ভয় লাগলেও খুব মজা। আবার চড়বো। ’

পার্কটিতে শিশুদের সঙ্গে বড়রাও মেতে উঠেছেন নানা খেলায়। এখানে তিন থেকে আট বছরের বাচ্চাদের জন্য রয়েছে বিশেষ রাইড। এর বাইরে বড়রাও যুক্ত হতে পারছেন একাধিক গেমিংয়ে। এমনই একজন জুনায়েদ। তিনি বলেন, ‘আজ (শুক্রবার) ছুটির দিন হওয়ায় পুরো পরিবার নিয়ে এসেছি। বাচ্চার সঙ্গে ওর মা রয়েছে আর আমি এখানে গেম খেলছি। ’

টগি ওয়ার্ল্ডের সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার বিশ্বজিত কুমার পাল বলেন, ‘স্বাস্থ্য নিরাপত্তার বিষয়টি খেয়াল রেখে পার্কে যত্ন সহকারে দেখভাল করা হচ্ছে। মাস্ক ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। রয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও। এ শহরে স্বাস্থ্যসম্মত খেলার জায়গার খুব অভাব। ঘরে শিশুদের শারীরিক কার্যক্রম কমে গেছে। বসুন্ধরা গ্রুপ সব সময়ই শিশুদের জন্য বিশেষভাবে চিন্তা করে। ’

বাংলাদেশ সব সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১
এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।