ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

‘মহেশখালির পানের খিলি তারে বানায় খাওয়াইতাম’

দেলোয়ার হোসেন বাদল, সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫২ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২১
‘মহেশখালির পানের খিলি তারে বানায় খাওয়াইতাম’ পান। ছবি: ডি এইচ বাদল

ঢাকা: ‘যদি সুন্দর একটা মুখ পাইতাম, মহেশখালির পানের খিলি তারে বানায় খাওয়াইতাম’ এই রোমান্টিক গান দিয়েই বুঝা যায় পান একটি সৌখিন খাবার।

এক সময় আমাদের দেশে ঘরে ঘরে দাদা-দাদী, নানা-নানী বয়স্করা পান খেতেন।

আর এখন সব বয়সের নারী-পুরুষ শখের বসে পান খেয়ে থাকে। কেবল স্বভাব হিসেবেই নয়, বাংলাদেশে ঐতিহ্যগতভাবে সামাজিক রীতি, ভদ্রতা এবং আচার-আচরণের অংশ হিসেবেই পানের ব্যবহার চলে আসছে।



এটি এক প্রকার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের লতাজাতীয় গাছের পাতা। নিশ্বাসকে সুরভিত করা এবং ঠোঁট ও জিহ্বাকে লাল করার জন্য মানুষ পান খায়। এটি মানুষের খাবারের হজমে অনেকটা সহায়তা করে।

বাংলাদেশের প্রায় সকল অঞ্চলেই পান চাষ করা হয়। তবে রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, দিনাজপুর, রংপুর ও চট্টগ্রাম জেলা পান চাষের জন্য বিখ্যাত।

চট্রগ্রামের মহেশখালীর পান দেশে বিদেশে সমাদৃত। মহেশখালির পান নিয়ে রয়েছে মজার মজার কাহিনি, আর রোমান্টিক যত গান।

রাজধানীর ফরাশগঞ্জ, শ্যামবাজার বুড়িগঙ্গা নদীর পাড় এলাকার পানের আড়ৎগুলো ঘুরে দেখা যায় আড়তের শ্রমিকরা ব্যস্ততায় সময় পার করছে।



শ্যামবাজার ঘাটে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নিয়ে আসা নৌকা ভর্তি পানের ঝুড়িগুলো আড়তে তুলছেন শ্রমিকরা। আড়তে পানের ঝুড়ি আনার পরে তা খুলে ছোট বড় ও মাঝারি সাইজের পান গুলোকে আলাদা করা হয়।

পানগুলো আলাদা আলাদা ঝুড়িতে ভরে তা পাইকারি বিক্রেতার কাছে পাঠানো হয়। পাইকারি বিক্রেতারা ছোট-বড় পান এক সঙ্গে বিড়া বানিয়ে খুচরা বিক্রেতার কাছে বিক্রি করেন।



পানের দাম গ্রীষ্মকালের চেয়ে বর্ষাকালে দাম চড়া হয়ে থাকে। সাধারণত ভালো মানের পানের প্রতি পোন বা বিড়া বিক্রি হয় ২০০-২৫০০ টাকা, মাঝারি মানের প্রতি পোন পান বিক্রি হয় ১৬০ টাকায় ও ছোট আকারের পানের প্রতি পোন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়, ভালো মানের পানের প্রতি গাদি (৮০ পোন/বিড়া) বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২২-২৩ হাজার টাকা, মাঝারি মানের প্রতি গাদি পান বিক্রি হচ্ছে ২০ হাজার টাকায়, ছোট পানের প্রতি গাদি বিক্রি হচ্ছে আট হাজার টাকা।

ফরাশগঞ্জ কাজল পান হাউজের মালিক জাকির হোসেন জানান, এ বছর শুরুতে তাপপ্রবাহ বেশি ও বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় পানের তেমন ফলন হয়নি তাই আমাদের পানের গাদি কিনতে হয়েছে একটু বেশি দামে। তবে আমাদের পানের বনিক সমিতি মার্কেটে এর প্রভাব তা পড়তে দেয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৮ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২১
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।