কুমিল্লা: এতদিন নাজমুল আবেদীনের বাসায় প্রদর্শনী চললেও এবার নতুন ঠিকানা পেয়েছে কুমিল্লা জাদুঘর। কুমিল্লার নগর উদ্যানে জাদুঘরটির স্থানান্তর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে জাদুঘরটির নতুন ঠিকানা উদ্বোধন করেন কুমিল্লার সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু।
উদ্বোধনকালে মেয়র সাক্কু বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছে ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরবে কুমিল্লা জাদুঘর। আমাদের থেকে অনেক পুরনো জিনিস হারিয়ে যাচ্ছে। তাই পুরনো জিনিসপত্র এ জাদুঘরে রাখা আছে। প্রযুক্তির কারণে শিশুরা কৃষি যন্ত্রপাতি, ঢেঁকি, হারিকেন এসবের নামও জানে না। তারা জাদুঘরে এলে দেখে জানতে পারবে, শিখতে পারবে। এজন্য নগরের শিশু উদ্যানে আমরা জাদুঘরটি স্থানান্তর করেছি।
কুমিল্লা জাদুঘরে রয়েছে তৈজসপত্র, পুরনো ২৫০টি মডেলের তালা, টেপ রেকর্ডার, হাতি, উট ও মহিষের শিং, লাঙল, জোয়াল, মাছ ধরার চাঁই, পুরনো দা’, ৫০ বছর আগের ইট, শিলা। এছাড়াও আছে কলের গানের যন্ত্রপাতি, ঢেঁকি, সুপারি কাটার শর্তা, হারিকেন, লাউয়ের ডুগডুগি, পাললিক শিলা, হুক্কা, ঘোড়ার চামড়ার আসন, নান চাকু, পুরোনো ক্যামেরা, খড়ম, পুরাতন রেডিও সেট, টেলিফোন সেট, গরুর কাইর, হরিণের মাথা, পুরনো দিনের ক্যামেরা, শ্রমিকদের কাজের লোহার সরঞ্জাম, পিতলের পাতিলসহ চার শতাধিক হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী সরঞ্জাম।
জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা স্কুলশিক্ষক নাজমুল আবেদীন বলেন, নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকে প্রাচীন জিনিসপত্র জমাতে থাকি। এগুলো সংগ্রহ করতে বিভিন্ন জেলায় ঘুরেছি। গত ৩০ বছরের পরিশ্রমের ফল এ জাদুঘর। নাম দিয়েছি কুমিল্লা জাদুঘর। গত চার বছর ধরে জাদুঘরটি আমার বাসায় ছিল। আজ থেকে নগর উদ্যানে সবার জন্য উন্মুক্ত।
প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জাদুঘর খোলা থাকবে। ৩০০ ধরনের দুই হাজারের বেশি দুর্লভ জিনিসপত্র এখানে আছে।
স্বীকৃতি পেলে নাজমুল আবেদীনের জাদুঘরটি হবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বীকৃত ব্যক্তিগত জাদুঘর। প্রথম স্বীকৃত জাদুঘরটি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২২
এসআই