কুড়িগ্রাম: ‘আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে, বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে। পার হয়ে যায় গরু, পার হয় গাড়ি, দুই ধার উঁচু তার, ঢালু তার পাড়ি’।
কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই কালজয়ী ‘আমাদের ছোট নদী’ কবিতা স্মরণ করিয়ে দেয় ধরলা নদীর নাব্যতা সংকটের দৃশ্যপট।
তবে বৈশাখ তো দূরের কথা মাঘ মাসেই কোথাও ছিপছিপ পানি, কোথাও হাঁটু পানি, আবার কোথাও বা কোমর পানি।
সেই পানিতে গা ভিজিয়ে ডুব সাঁতার দিয়ে দিনভর খেলায় মত্ত হয় শিশু-কিশোরের দল।
বর্ষাকালের দু’কূল ছাপানো পানিতে টইটম্বুর কুড়িগ্রামের ধরলা নদীর বুক জুড়ে এখন ক্ষীণ ধারায় প্রবাহিত হওয়াসহ জেগে উঠেছে অসংখ্য ছোট-বড় চর।
সেই চরগুলোর পরিত্যক্ত তৃণভূমিতে ঘাস খেয়ে চরে বেড়ায় গবাদি পশুর দল। দিনভর চারণভূমিতে বিচরণের পর শেষ বিকেলে চলে ফেরার পালা।
সন্ধ্যার নামলেই গোধূলি লগ্নে সূর্য যখন অস্তগামী, ঠিক তখনই ধরলা নদীর পানি ভেঙে লোকালয়ে ফিরতে শুরু করে কিষাণ আর গবাদিপশুর পাল।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২২
এফইএস/কেএআর