ঢাকা, শুক্রবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

এই বসন্ত, এই ফাল্গুন ভালোবাসার

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
এই বসন্ত, এই ফাল্গুন ভালোবাসার ছবি: বাংলানিউজ। ফাইল ফটো

ঢাকা: বসন্ত মানেই একগুচ্ছ কবিতা, গান, ভালোবাসার পঙক্তিমালা। বসন্ত মানেই মনকে আন্দোলিত করা সুন্দরের আহ্বান।

তাইতো এই বসন্ত, এই ফাল্গুন এতো ভালোবাসার। সেই ভালোবাসাকে নতুন করে স্মরণ করিয়ে দিতে প্রকৃতিতে আবার এলো বসন্ত, দোলা দিলো ফাল্গুন।

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলা সনের ১লা ফাল্গুন বা বসন্ত ঋতুর ১ম দিন। শীতের রুক্ষতাকে পেছনে ফেলে প্রকৃতিকে আবার নতুন রূপে সাজিয়ে তোলার আগমনী বার্তা নিয়ে বসন্তের আগমন।

বসন্ত বা ফাল্গুন আসা মানেই মনে করিয়ে দেওয়া- আমার আপনহারা প্রাণ, আমার বাঁধন-ছেড়া প্রাণ! বসন্ত মানেই- পায়ে পায়েল রুমঝুম; ফাল্গুনে শুরু হয় গুনগুনানী, ভোমরাটা গায় ঘুম ভাঙানি, এক ঝাঁক পাখি এসে ঐকতানে, গান গায় একসাথে ভোর বিহানে। আর জীবনানন্দের সবিতার সঙ্গে মানুষ্য জন্ম নিয়ে আঁধার পথে ভালোবাসার গুঞ্জন।

নতুন কুঁড়ির সঙ্গে বসন্ত শুধু প্রকৃতিতেই নয় মানুষের মনেও জাগায় প্রাণের ছোঁয়া। তাই বসন্তের প্রথম দিনটিকে উদযাপন করতে সবাই মেতে ওঠে উৎসবে। নিজেকে সাজিয়ে তোলে বসন্তের রঙে। সেই রঙে আজ সাজবে পুরো বাঙালি। কেননা আজ ভালোবাসার দিন, নতুন প্রাণে জেগে ওঠার দিন। আজ ফাল্গুন।

ফাল্গুন নামটি এসেছে মূলত ফাল্গুনী নামের নক্ষত্র থেকে। খ্রিষ্টপূর্ব ১৫০০ সালের দিকে চন্দ্রবর্ষ ও সৌরবর্ষ উভয়ই মেনে চলা হতো। ফাল্গুন ছিল পূর্ণ চন্দ্রের মাস। ১৯৫০-১৯৬০ দশকেই আনুষ্ঠানিকভাবে পহেলা ফাল্গুন পালন শুরু হয়। সেসময় বাংলাদেশের জনগণ পাকিস্তানের সংস্কৃতি থেকে নিজেদের আলাদা করতে রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনার পাশাপাশি বাঙালি নিয়মে পহেলা ফাল্গুন পালন শুরু করে। তারপর আকাশে বহিছে প্রেম, নয়নে লাগিল নেশা; কারা যে ডাকিল পিছে! বসন্ত এসে গেছে…!

বসন্তকে নিয়ে যেমন আনন্দ উচ্ছ্বাস আছে, তেমনি আছে বিরহের সুরও। প্রেম আর ভালোবাসার ফাঁকে ফাঁকে অভিমান বিচ্ছেদও চলে সমানভাবে। যারা এই বসন্তে তাদের মনের মানুষ থেকে দূরে আছেন তাদের জন্যে লেখা গান- ‘কেউ বলে ফাল্গুন, কেউ বলে পলাশের মাস, আমি বলি আমার সর্বনাশ, কেউ বলে দখিনা কেউ বলে মাতাল বাতাস, আমি বলি আমার দীর্ঘশ্বাস। ’ এ থেকেই বোঝা যায় যে, বাঙালি বসন্তকে জড়িয়ে রাখে হৃদয়ের একেবারে কাছে। তারা বসন্তে মাতে নানা আনন্দ-উৎসবে। আর এসব বসন্তের উৎসবে আলো ছড়ায় বসন্তের গান ও কবিতা। ‘সুখে আছে যারা, সুখে থাক তারা, সুখের বসন্ত, সুখে হোক সারা’। কবিগুরুর এই পঙক্তিমালা আমাদের ছুঁয়ে যাক বার বার। বসন্তের শুভেচ্ছা।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
এইচএমএস/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।