ঢাকা: ১৮ বছরে পা রেখেছে বাতিঘর। এ উপলক্ষে চট্টগ্রাম, ঢাকা ও সিলেট বাতিঘর পাঠক, লেখক ও শুভানুধ্যায়ীদের স্বাগত জানিয়েছে।
শুক্রবার (১৭ জুন) নানা রঙে সেজেছে বাতিঘর। সারাদিন অসংখ্য শিশু, কিশোর-কিশোরী ও যুবক এবং পৌঢ়ের পদচারণায় মুখর ছিল বাতিঘর। বিকেলে চলে মুক্ত আলাপ ও গান।
মুক্ত আলাপে অংশ নেন রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গীতিআরা নাসরিন, মির্জাপুরের কুমুদিনী নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ সিস্টার রীনা কুশ, কথাশিল্পী আসিফ নজরুল, শীলা আহমেদ, অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিম, অভিনেত্রী অপি করিম, কবি শামীম রেজা, প্রাবন্ধিক হামীম কামরুল হক, কথাশিল্পী সালমা মোস্তফা নুসরাত, প্রকাশনা সংস্থা নালন্দার স্বত্বাধিকারী রেদওয়ানুর রহমান জুয়েল প্রমুখ। এ সময় মুক্ত আলাপে বক্তারা বাতিঘরকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বাতিঘর বইয়ের এক খোলা দুনিয়া। সারাদিন জুড়ে থাকা যায়, আর বার বার যাওয়া যায়; বই দেখা, বই পড়ার অপার সুযোগ এমন আর কোথায়! বাতিঘর বাংলাদেশের পাঠকদের বইয়ের চাহিদাপূরণে অনন্য ভূমিকা পালন করছে। এক কথায় বাতিঘর হয়ে উঠেছে আমাদের বই বিশ্বের খোলা দুনিয়া।
কানাডায় পিএইচডি করছেন তানিশা চাকমা। বাতিঘরের জন্মদিনে তিনি ফরাসি, ফারসি ও বাংলা ভাষায় তিনটি গান গেয়ে শোনান। দুই বোন গার্গী ঘোষ ও মৈত্রেয়ী ঘোষ শোনান আধুনিক গান ও রবীন্দ্র সংগীত। আরও অনেকেই মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন এবং গান গেয়ে শোনান বাতিঘরের জন্মদিনে।
বাতিঘরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবারও ছিল নানা আয়োজন। সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে বাতিঘরের জন্মোৎসব।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ১৭ জুন চট্টগ্রাম শহরের চেরাগি পাহাড় মোড়ে ছোট্ট একটা ঘরে বাতিঘর যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে চট্টগ্রাম, ঢাকা ও সিলেটে বড় পরিসরে এবং ঢাকার শাহবাগ ও বাংলাবাজারে ছোট পরিসরে বাতিঘরের শাখা রয়েছে। রাজশাহী শহরের প্রাণকেন্দ্র ঘোড়ামারায় বড় পরিসরে বাতিঘর প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে। দেশে বিদেশে যেকোনো জায়গায় বই পাঠানোর জন্য যাত্রা শুরু করেছে অনলাইন বাতিঘর—baatighar.com
২০০৯ সালে প্রকাশনা সংস্থা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বাতিঘর। ইতোমধ্যে বাতিঘর প্রকাশ করেছে প্রায় ৩০০ বই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২২
এইচএমএস/আরআইএস