ঢাকা, শুক্রবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর এখন ঈশ্বরদীতে

টিপু সুলতান, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০২২
বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর এখন ঈশ্বরদীতে

পাবনা (ঈশ্বরদী): বঙ্গবন্ধু ও মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাঁথার ইতিহাস জানাতে বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর এখন ঈশ্বরদীর শতবর্ষের পুরোনো রেলওয়ে জংশন স্টেশনে।  

বুধবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে ঈশ্বরদী জংশন রেলস্টেশনে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘরটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) থেকে শনিবার (৯ অক্টোবর) পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এবং  বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জাদুঘরটি সবার জন্য খোলা থাকবে।  

আগামী ১০ অক্টোবর সকাল থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) কার্যলয়ের সামনে প্রদর্শন করা হবে। পরে ১৪ অক্টোবর পঞ্চগড় রেলওয়ে স্টেশনের উদ্দেশে রওনা হবে বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ ট্রেন জাদুঘর।

মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ অভিমুখী মহানন্দা এক্সপ্রেস ট্রেনে ভেরামারা থেকে ঈশ্বরদীতে আনা হয়েছে। বর্তমানে ওই ট্রেন জাদুঘরটি ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের দুই নম্বর প্লাটফর্মের দক্ষিণ পাশে রাখা হয়েছে।
 
বুধবার (৫ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  

গত ২৭ এপ্রিল ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘরটির উদ্বোধন করা হয়।  

বুধবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে এ জাদুঘরে গিয়ে দেখা,যায় শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত বগিটি বেশ সুন্দর পরিপাটি। বগিতে উঠতেই কানে আসে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ। দরজার পাশে বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত মুজিব শতবর্ষের লোগো। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর  জীবন- আন্দোলনের  সংগ্রামকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ভিডিওর মাধ্যমে।  

জাদুঘরে স্থান পেয়েছে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর টুঙ্গিপাড়ার বাবার বাড়ি, জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ছবি।

এছাড়া বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত চশমা, দলীয় প্রতীক 'নৌকা', মুজিব কোট, মুজিব শতবর্ষের লোগো এবং বঙ্গবন্ধুর তামাক পাইপ, বঙ্গবন্ধুর লেখা বই, মুজিবনগর স্মৃতিস্তম্ভ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পণ, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বঙ্গবন্ধু সমাধি সৌধের রেপ্লিকা।

জাদুঘরে ১৯২০-১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ১২টি গ্যালারির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু-মুক্তিযুদ্ধ-বাংলাদেশের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে।

এছাড়া জাদুঘরটিতে জয় বাংলা স্লোগানের আদলে তৈরি করা হয়েছে সৃজনশীল একটি বুকশেলফ। সেখানে শোভা পেয়েছে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, আমার দেখা নয়াচীনসহ তার কর্মময় জীবনের ওপরে রচিত গুরুত্বপূর্ণ বই। শোভা পেয়েছে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা বই 'শেখ মুজিব আমার পিতা'।

ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত  সুপারিনটেনডেন্ট (এসএস) মহিউল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষ নির্মাণ। বঙ্গবন্ধু -বাংলাদেশ যে একসূত্রে গাঁথা, তরুণ প্রজন্ম আজ সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানলে তাদের মধ্যে দেশকে নিয়ে আরও জানার আগ্রহ বাড়বে।  

রেলওয়ে যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ক্যারেজ) দফতরে থাকা রেলওয়ে কর্মচারী মোতায়েন করা হয়েছে সব কিছু দেখভাল করার জন্য। এছাড়া রেলওয়ে জিআরপি ও নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০২২
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।