মৌলভীবাজার: আবেগময় মিনতির সাইনবোর্ড! এমন ‘সাইনবোর্ড’ আগে দেখেছেন কখনো? সম্ভবত অনেকেরই উত্তর হবে ‘না’। কেননা, এমন সাইনবোর্ড সচরাচর আমাদের চোখে পড়ে না।
‘হাত জোড় করে বলছি গাড়ি ঘোরাবেন না’- চলার পথে এমন একটি সাইবোর্ডে চোখ আটকে যায়। আবেগময় ভাষার ব্যতিক্রমী ব্যবহার। কিছুটা আলোচনারও দাবি রাখে বৈকি।
বস্ততপক্ষে বলাই বাহুল্য, গৃহকর্তা বা ওই বাড়ির লোকজন কতটা যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে শেষকালে এমন মিনতিভরা সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিতে পারেন! সবার দৃষ্টি যাতে আকর্ষণ করতেই সীমানাপ্রাচীর থেকে ওপরে গাছের গায়ে পেরেক ঠুকে লাগানো হয়েছে ওই সাইনবোর্ড।
সাইনবোর্ডটি দেখা মাত্রই প্রশ্ন জাগে, এত মিনতির কারণটা আসলে কী?
সম্প্রতি মৌলভীবারের শ্রীমঙ্গল শহরের একটি আবাসিক এলাকায় এমন ব্যতিক্রমী সাইনবোর্ডে আটকে যায় দৃষ্টি। এই সাইনবোর্ড বা ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপনটি অনেক দিন ধরেই শোভা পাচ্ছে বাড়ির সম্মুখ ভাগে।
এলাকাবাসীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এই আবাসিক এলাকার ভেতর দিয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশা, ব্যাটারিচালিত টমটম/ইজিবাইক এবং প্যাডেলচালিত রিকশা নিয়মিত যাতায়াত করে। তার মাঝে মোটরবাইক, কার, মাইক্রো প্রভৃতি এসে এই এলাকার তীব্র যানজটকে আরো দীর্ঘস্থায়ী ও যন্ত্রণাদায়ক করে তোলে। আবাসিক এলাকার লোকজন বাড়ি থেকে স্বাভাবিকভাবে বের হতে পারেন না।
সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়েন যাদের গাড়ি আছে তারা। আবাসিক এলাকার এ সড়কটাতে যখন-তখন লেগে থাকা তীব্র যানজটের কারণে বাড়ির মালিকরা স্বাচ্ছন্দে নিজেদের গাড়ি বের করতে পারেন না।
ওই ব্যতিক্রমী সাইনবোর্ডের পাশে কোনো কোনো চালক আবার গাড়ি ঘোরানোর সময় প্রধান ফটকে এসে সজোরে ধাক্কা লাগিয়ে থাকেন এবং গেইটটি আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ক্ষতির সম্মুখীনও হয়। মূলত তীব্র যানজট এবং প্রধানফটকে অনাকাঙ্ক্ষিত ধাক্কা থেকে রক্ষা পেতেই লাগানো হয়েছে এমন ব্যতিক্রমী আবেগময় সাইনবোর্ড।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২২
বিবিবি/এএটি