জানালার পাশে বসে বাইরে তাকিয়ে রয়েছে স্টিফেন। পাঁচতলা বিল্ডিং থেকে ব্যস্ত শহরের সৌন্দর্য মুগ্ধ হয়ে দেখছে সে।
‘স্টিফেন, স্টিফেন’, জ্যাক্সেনের ডাকে স্টিফেন বেশ বিরক্তবোধ করলো। পিছনে না তাকিয়েই বললো, ‘কি হয়েছে?’
‘তোমার খাওয়ার সময় হয়েছে। তোমার খাবার নিয়ে এসেছি। ’
স্টিফেনের বিরক্তবোধ আরও বেড়ে গেলো। কোনোমতে নিজেকে সামলে নিয়ে বললো, ‘আচ্ছা খাবারগুলো রেখে যাও, আমি খেয়ে নেবো’।
‘তুমি খাওয়া শেষ না করা পর্যন্ত আমি যেতে পারবো না’, জ্যাক্সেন থমথমে গলায় উত্তর দিলো।
স্টিফেন খেতে বসেছে। তার খাওয়ার গতি দেখেই মনে হচ্ছে, জ্যাক্সেনকে তাড়ানোর জন্যই সে তাড়াহুড়ো করে খাচ্ছে। খাওয়া শেষ হলো। জ্যাক্সেন কয়েকটি উপদেশবাণী শুনিয়ে রুম থেকে বিদায় নিলো।
স্টিফেন আবার জানালার ধারে গিয়ে বসলো। এটাই স্টিফেনের প্রতিদিনের কাজ। স্কুল থেকে ফিরে এসেই জানালার ধারে বসে থাকে।
স্টিফেনের বয়স পনেরো বছর। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে তার বাড়ি। বাসার কাছের একটি স্কুলেই সে পড়াশুনা করে। সে থাকে তার বাবার সঙ্গে। স্টিফেনের বাবা, মি. ড্যানিয়েল একজন রোবটিক্স ইঞ্জিনিয়ার। অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় রোবটিক কোম্পানি ‘স্টিফেন রোবটিক্স গার্ডেন’র মালিক তিনি।
স্টিফেনের মা, মিসেস মালিশা তাদের সংসার ছেড়ে চলে গেছেন বছর দু’য়েক হলো। স্টিফেনের বাবা ব্যবসা নিয়ে এতোটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন যে, সংসারে একটুও সময় দিতে পারছিলেন না। এসব সহ্য করতে না পেরে মালিশা তার সাবেক প্রেমিকার কাছে ফিরে যান। তাদের একটি বাচ্চাও হয়েছে।
ড্যানিয়েল এখনও নিজেকে পরিবর্তন করতে পারেননি। দিনরাত পড়ে থাকেন তার কারখানায়। রোবটিক্সকে তিনি পেশা হিসেবে না নিয়ে যেনো নেশা হিসেবেই নিয়েছেন।
প্রতিবার উন্নত রোবট তৈরি করে তার একটিকে তিনি পাঠিয়ে দেন স্টিফেনের দেখভালের জন্য। এসব রোবট এতো বেশি কেয়ারিং যে, স্টিফেনের একটুও ভালো লাগে না। জ্যাক্সেন সেই রোবটদেরই একজন।
জ্যাক্সেন আবার এসেছে। স্টিফেনকে তার দৈনিক কাজগুলো মনে করিয়ে দিচ্ছে। ঠিকমতো খাওয়ার ব্যাপারে কী কী যেনো মুখস্ত বলে যাচ্ছে। স্টিফেনের সেদিকে মন নেই। তার মনে প্রায়ই প্রশ্ন জাগে, আচ্ছা বাবা যে এই রোবটদের এতো কেয়ারিং করে বানায়, তাহলে এরা কেন মানুষের মনের কেয়ার নেয় না! শুধু শরীরের দিকটা দেখেই কি এরা ক্ষান্ত হয়? আচ্ছা মানুষও কি রোবটদের মতো?
সেদিন স্কুল থেকে ফিরে স্টিফেন জানালার দিকে তাকিয়ে রাস্তার মানুষের দেখছে। কতো রঙ-বেরঙের তাদের পোশাক। ভিন্ন ভিন্ন রঙের পোশাকের মতোই তাদের ভিন্ন ভিন্ন মন। স্টিফেন মনে মনে কল্পনা করতে থাকে লাল গেঞ্জি পরা ছেলেটির লাল মন, সবুজ টপস পড়া ছোট্ট মেয়েটির সবুজ মন। এসব অদ্ভুত অদ্ভুত ভাবনা ভাবতে বেশ ভালো লাগে তার। নিজেকে কেমন বড় বড় মনে হয়।
হঠাৎ স্টিফেনের চোখ আটকে গেলো কালো জামা পরা এক নারীর দিকে। তার পাশে একটি টেকো মাথার লোক। তাদের মাঝখানে বছর তিনেকের একটি বাচ্চা মেয়ে। মেয়েটি তাদের বাবা-মায়ের হাত ধরে লাফাতে লাফাতে যাচ্ছে। স্টিফেন আরেকটু গভীরভাবে দেখতেই বুঝতে পারলো, নারীটি মিসেস মালিশা, তার মা।
স্টিফেন দৌড়ে গিয়ে তার দূরবীনটা নিয়ে এলো। কিন্তু এসেই সে দেখলো, তারা ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে গেছে। স্টিফেন যেনো নিজেকে বিশ্বাস করতে পারছে না। সারাটা বিকেল সে দূরবীন হাতে বসে রইলো জানালার পাশে আর ভিড়ের মধ্যে খুঁজতে লাগলো তার মায়ের মুখ। থেকে থেকেই তার চোখ ছলছল করে উঠছে। কিন্তু চাপা এক অভিমানে সে কান্না চেপে রাখলো। যে মা তাকে ছেড়ে চলে গেছে, তার জন্য কেনো সে কাঁদবে? জোর করে সে চোখের পানি আঁটকে রাখে। কিন্তু শেষপর্যন্ত আর পারলো না, ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদেই ফেললো!
সে রাতে স্টিফেন এক অদ্ভুত স্বপ্ন দেখলো। সেই ছোট্ট মেয়েটি আর স্টিফেন বাড়ির সামনে ফাঁকা জায়গায় খেলা করছে। মেয়েটি স্টিফেনের চারপাশে দৌড়াচ্ছে আর থেকে থেকেই স্টিফেনের মুখে হাত রেখে খিলখিলিয়ে হাসছে। হঠাৎ
কোথা থেকে যেনো তার মা চলে এলো। স্টিফেন মাথা নিচু করলো। তার মা তাকে না দেখার ভান করে মেয়েটিকে নিয়ে চলে গেলো। মেয়েটি স্টিফেনের দিকে হাত বাড়িয়ে চিৎকার করে উঠলো আর তাতেই স্টিফেনের ঘুম ভেঙে গেলো।
স্টিফেন লাইট জ্বালিয়ে বসে রইলো। কিছুই ভালো লাগছে না তার। রুমে লাইট দেখে হ্যাট্রিগফা চলে এলো। হ্যাট্রিগফাকে জ্যাক্সেনের বদলে নিয়ে আসা হয়েছে। এই রোবটটি তেমন একটা বিরক্তিকর না হলেও এও স্টিফেনের মনের খবর
নেয় না, শুধু শরীরের খবর নেয়।
‘তোমার কী হয়েছে স্টিফেন? তোমার কি ঘুম আসছে না? তুমি কি গান শুনতে চাও?’, একটানা প্রশ্ন করে গেলো হ্যাট্রিগফা। স্টিফেন কোনো কথা বললো না। লাইট নিভিয়ে ঘুমানোর ভান করল। হ্যাট্রিগফা চলে গেলো। এই রোবটগুলোকে স্টিফেন একটুও দেখতে পারে না। যে বস্তুটি মানুষের মনের খবর না রেখে শুধু বাইরের বিষয় নিয়েই মাতামাতি করে, তাদের পছন্দ করার বিশেষ কোনো যুক্তি দেখে না সে।
রাত তখন তিনটা। তখনও স্টিফেনের চোখে ঘুমের ছিটেফোঁটা নেই। বালিশের নিচ থেকে মোবাইল বের করে আলো জ্বালালো। স্ক্রিনের মিটিমিটি আলোয় ব্যাগ হাতড়ে একটি ডায়েরি বের করে সে।
কালো মলাটের অত্যন্ত চমৎকার একটি ডায়েরি। স্কুল থেকে ফেরার পথে রাস্তার পাশের একটি দোকানে ডায়েরিটি চোখে পড়তেই বেশ ভালো লাগে তার। কী মনে করে কিনে নেয়। স্টিফেন ডায়েরি হাতে অনেকক্ষণ ধরে বসে রয়েছে। আগে কখনও ডায়েরি লেখেনি তাই বুঝতে পারছে না কী লিখবে, কী দিয়ে শুরু করবে।
হাতের মধ্যে কলমটি নাচাতে নাচাতে একসময় কলমটির হেড খুলে লেখা শুরু করে দেয় স্টিফেন। ছোটবেলায় একবার একটি খেলনা গাড়ির জন্য খুব বায়না করেছিলো। তার মা তাকে একটি দোকানে নিয়ে গিয়ে ১১টি গাড়ি কিনে দেয়। সেদিন স্টিফেন আনন্দে কেঁদেই দিয়েছিলো।
লিখতে লিখতে ছোটবেলার আরও অনেক ঘটনা মনে পড়ে গেলো তার। সব ঘটনাই সে ডায়েরিতে লেখা শুরু করলো। পরেরদিন স্কুল থেকে ফিরে এসেই স্টিফেন ডায়েরিটি নিয়ে বসলো। এখন সে আর জানালার দিকে তাকিয়ে থাকে না। আজ সে ডায়েরির অনেকখানি লিখে ফেললো। এর মধ্যে হ্যাট্রিগফা এসে খাবার দিলো। স্টিফেন তাড়াতাড়ি খেয়ে কোনোমতে হ্যাট্রিগফাকে বিদায় করে আবার ডায়েরি লেখায় মন দিলো। যেদিন তার মা তাকে ছেড়ে চলে যায় সেই ঘটনাও লিখলো সে।
মালিশা খাবার টেবিলে অপেক্ষা করছেন ড্যানিয়েলের জন্য। ঘড়ির কাঁটা যখন বারটার ঘর ছুঁইছুঁই করছে, তখনই ড্যানিয়েল বাসায় ফিরলেন। প্রতিদিনের মতো মালিশার চিৎকার চেঁচামেচিতে স্টিফেনের ঘুম ভেঙে গেলো। চোখ বুজে সে মা-বাবার ঝগড়া শুনতে লাগলো। তার বাবা-মা যখন ঝগড়া করে তার একটুও ঘুম পায় না, খুব ভয় হয়। সেদিনকার ঝগড়াটা ছিলো একটু অন্যরকম। মালিশার সঙ্গে ড্যানিয়েলও বেশ চিৎকার করছিলেন। অন্যদিন সাধারণত ড্যানিয়েল চুপচাপই থাকেন। একসময় স্টিফেন অনুভব করলো মালিশা তার রুমে এসেছে। স্টিফেন চোখ বুজে ঘুমের ভান করে আছে। মালিশা স্টিফেনকে জড়িয়ে ধরে কপালে অনেকগুলো চুমু খেলো। মালিশা কাঁদছে, মালিশার চোখের পানি স্টিফেনের গাল ভিজিয়ে দিচ্ছে। কিছুক্ষণ পরেই মালিশা ব্যাগ গুছিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে গেলো। গেট খোলার শব্দ শোনার সঙ্গে সঙ্গে স্টিফেন জানালার কাছে দৌড়ে গেলো। মালিশা চোখ মুছতে মুছতে গাড়ির দরজা খুললো। গাড়ি চলতে শুরু করে। স্টিফেন নির্বাক তাকিয়ে রইলো। তার খুব চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে করলো। মাকে জড়িয়ে ধরে বলতে ইচ্ছে করলো, যেও না মা প্লিজ, যেও না তুমি।
এর মধ্যে হ্যাট্রিগফাকেও বদল করা হলো। এবার স্টিফেনের দেখভাল করার জন্য আনা হয়েছে ‘স্টিভানা-১২’ নামে একটি রোবটকে। এটি দেখতে একেবারে একটি পুতুলের মতো। চোখ দু’টো নীল, যেনো দু’টি মুক্তো বসানো। গালগুলো লাল টকটকে। আর ঠোঁটদু’টো বেশ অভিমানী। স্টিভানা-১২ অত্যন্ত উন্নতমানের ও অত্যাধুনিক একটি রোবট। এটি মানুষের অনুভূতিগুলো বুঝতে পারে এবং সেই অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া করতে পারে। মানুষের একাকীত্ব দূর করার জন্যই মূলত এই রোবট তৈরি।
প্রথম দিকে স্টিফেন ভেবেছিলো স্টিভানা-১২ অন্য রোবটদের মতোই বিরক্তিকর হবে। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই সে লক্ষ্য করলো, স্টিভানা-১২ সেরকম নয়, একেবারেই অন্যরকম। কখনই স্টিফেনকে জোর করে কিছু করতে বলে না। স্টিফেনের মনের অবস্থা অনুযায়ী সে কাজ করে। আর বাকি সময়টুকু জানালার পাশে অথবা ঘরের এক কোণে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে থাকে।
স্টিফেনের মনে কৌতুহল জন্মাতে থাকে। ইভানার সঙ্গে সে বন্ধুত্ব পাতাতে চায়। কিন্তু কীভাবে শুরু করবে, তা বুঝতে পারছে না।
স্টিফেনের খাওয়ার সময় হয়ে এলো। ইভানা স্টিফেনের খাবার নিয়ে এসেছে। স্টিফেন ইভানাকে তার পাশে বসতে বললো। তারপর টুকটাক কথা বলা। আর এভাবেই তাদের বন্ধুত্বের শুরু!
যতোই দিন যায়, তাদের বন্ধুত্ব আরও গাঢ় হতে থাকে। স্টিফেন ইভানাকে ইভা বলে ডাকে। স্টিফেন এখন আর ডায়েরি লেখে না, জানালার পাশেও তাকিয়ে থাকে না। এখন সে স্কুল থেকে এসেই ইভার সঙ্গে কথা বলে। ইভাও মন দিয়ে শোনে। স্টিফেনের অনুভূতি উপলব্ধি করে সেই অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া জানায়। এভাবে বেশ ভালোই চলছিলো স্টিফেনের জীবন। একদিন সকালবেলা স্টিফেন ইভার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে স্কুলে যায়। বিদায় নেওয়ার সময় স্কুল থেকে এসে কী কী করবে সব বলে যায়। ইভা মুখে হাসির রেখা টেনে তাতে সায় দেয়।
ইভা বাসায় একা। জানালার দিকে তাকিয়ে স্টিফেনের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো। এমন সময় ঘরের কোণে পড়ে থাকা একটি কালো ডায়েরির দিকে নজর গেলো তার।
কোনো কাজ নেই তাই ডায়েরিটা খুলে পড়া শুরু করে দিলো। ডায়েরির লেখাগুলো দেখলেই বোঝা যায়, কাঁপা কাঁপা হাতে লেখা। দু’-একটি পাতায় চোখের পানি শুকিয়ে কেমন কুঁকড়ে রয়েছে।
ইভা ডায়েরির যতোই গভীরে যেতে লাগলো, সে যেনো অন্য এক স্টিফেনকে আবিষ্কার করতে লাগলো। স্টিফেনের জীবনের বিভিন্ন দুঃখ-কষ্ট, সংগ্রাম পড়ে ইভার খুব খারাপ লাগতে লাগলো। তার প্রোগামিংয়ে মানুষের অনুভূতি বোঝার ক্ষমতা রয়েছে। সে ডায়েরিটা পড়া শেষ করতে পারলো না। তার প্রোগামিংয়ে গড়বড় দেখা দিলো, মেমোরির সুখের স্মৃতিগুলো মুছে গিয়ে কষ্টের ঘটনাগুলো এসে ভিড় জমাতে লাগলো।
ইভা বুঝতে পারে, তার বেশ অস্বস্তিবোধ হচ্ছে। সে প্রোগামিং অনুযায়ী কোনো কাজই ঠিকমতো করতে পারছে না। তার চোখের সামনে স্টিফেনের জীবনের ঘটনাগুলো ভাসতে
থাকলো। স্টিফেনের ঘটনাগুলো যেনো কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলো না সে। এখন চোখের সামনে থেকে এই ঘটনাগুলো মুছে ফেলার একটাই উপায়। ইভা কাঁপা কাঁপা হাতে ‘সেলফ
ডেস্ট্রয়’ বাটনে প্রেস করে বসে। এটি ছাড়া আর কোনো পথই খোলা ছিলো না তার।
ইভার চোখের সামনে থেকে একে একে সব দুঃখের ঘটনা মুছে যেতে লাগলো। শেষে একটি ছবি এলো, স্টিফেনের হাসিমাখা মুখে কথা বলার। ইভা নির্বাক তাকিয়ে রইলো
ছবিটির দিকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তার প্রসেসর বন্ধ হয়ে গেলো। মেঝেতে পড়ে রইল ইভার নিথর বডি।
স্টিফেনের শেষ ক্লাস। বিজ্ঞান স্যার কী যেনো সব বোঝাচ্ছেন। স্টিফেনের সেদিকে মন নেই। আজ স্টিফেনের জন্মদিন! বাবা আর মা ছাড়া তার জন্মদিন কেউ জানে না। বাবা কাজের চাপে হয়তো ভুলেই গেছেন আর মা...
স্টিফেন শেষ বেঞ্চে বসে পা দোলাতে দোলাতে কল্পনা করতে লাগলো, আজ সে ইভাকে তার জন্মদিনের কথা বলবে। সঙ্গে একগুচ্ছ লাল গোলাপও দেবে। টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে সে কিছু জমিয়েছে।
এইসব ভাবতে ভাবতেই ছুটির ঘণ্টা বেজে উঠলো। স্টিফেন দৌড়ে ক্লাসরুম থেকে বের হয়ে স্কুলের পাশে ফুলের দোকান থেকে একগুচ্ছ তাজা লাল গোলাপ নিয়ে বাসার পথে রওনা হলো।
পাঁচ মাস পর...
জানালার পাশে বসে রয়েছে স্টিফেন। পাশে একগুচ্ছ শুকনো গোলাপ। হঠাৎই হালকা বাতাসে দোল খেয়ে পড়ে যাচ্ছে গোলাপের কালো পাঁপড়িগুলো। স্টিফেন সেদিকে নির্বাক তাকিয়ে রইলো!
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৬
এসএনএস