গোটা ফুটবলবিশ্বকে চমকে দিয়েছে মরক্কো। পর্তুগালকে হারিয়ে আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ওয়ালিদ রেগরাগুইয়ের শিষ্যরা।
পর্তুগিজদের বিপক্ষে ১-০ গোলে জেতা ম্যাচটিতে দারুণ সব সেভ করে মরক্কোর জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন গোলরক্ষক ইয়াসিন বুনো। ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠেছিল তার হাতেই। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে সেই পুরস্কার তিনি তুলে দেন সতীর্থ ইউসুফ এন-নেসিরির হাতে। কারণ তার মতে, ম্যাচের আসল নায়ক আসলে এন-নেসিরি, যিনি দারুণ হেডে লক্ষ্যভেদ করে দলকে ঐতিহাসিক জয় পাইয়ে দেন।
আল-থুমামা স্টেডিয়ামে গতকাল কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে ডাইভ দিয়ে তিনটি শট ঠেকান বুনো। ফলে আরও একবার ক্লিনশিট বজায় রাখলেন মরক্কান গোলরক্ষক। শুধু কি তাই, ২০২২ বিশ্বকাপেই এখন পর্যন্ত প্রতিপক্ষের কোনো খেলোয়াড় ১.৯৫ মিটার উচ্চতার বুনোকে পরাস্ত করতে পারেননি। অবশ্য গ্রুপ পর্বে কানাডার বিপক্ষে আত্মঘাতী গোল করেছিলেন মরক্কোর নায়েফ।
পর্তুগালের বিপক্ষে দারুণ পারফরম্যান্সের কারণেই বুনোর হাতে ম্যাচসেরার পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়েছিল। তবে ম্যাচসেরার পুরস্কারটি তিনি তুলে দেন ম্যাচের একমাত্র গোলদাতা এন-নেসিরিকে। অবশ্য এই বিশ্বকাপে এবারই প্রথম ম্যাচসেরার পুরস্কার পাননি বুনো। এর আগে শেষ ষোলোয় স্পেনের বিপক্ষে পেনাল্টি শুটআউটে কার্লোস সোলের ও সের্হিও বুসকেতসের শট ঠেকিয়েও এই পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি।
২০১৯-২০ মৌসুম থেকে স্পেনের লা লিগার ক্লাব সেভিয়ার হয়ে খেলছেন বুনো। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ক্লাবটির জার্সিতে ১২০ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। এছাড়া ক্লাব ক্যারিয়ারে স্পেনেরই আতলেতিকো মাদ্রিদ, জারাগোজা এবং জিরোনার হয়ে খেলেছেন এই তরুণ গোলরক্ষক। তাছাড়া মরক্কোর জার্সিতে ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপেও খেলেছেন তিনি। যদিও নিজ জন্মস্থান কানাডার জার্সিতেও খেলার ডাক পেয়েছিলেন, কিন্তু তার বদলে তিনি পিতৃভূমি মরক্কোকে বেছে নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২২
এমএইচএম