কাতার বিশ্বকাপে যেন নিজেকে নতুন করে চিনিয়েছেন লিওনেল মেসি। এই ফুটবলার বিশ্বকাপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে পারেননি এখনও।
ফাইনাল খেললেই বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ২৬ ম্যাচে মাঠে নামার রেকর্ড গড়বেন তিনি। তার সামনে সুযোগ সর্বোচ্চ ২০ গোলে অবদান রাখারও। এখন ১১ গোল ও ৮ অ্যাসিস্ট আছে মেসির। তার এবারের যাত্রাকে তুলনা করা হচ্ছে স্বদেশি কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনার ১৯৮৬ বিশ্বকাপের সঙ্গে।
এ নিয়ে জাতীয় দলে মেসির সাবেক সতীর্থ হ্যাভিয়ের জেনেত্তি বলেছেন, ‘মেসি দুর্দান্ত ফুটবলার। সে ম্যারাডোনার সঙ্গে একই উচ্চতায় আছে। আমার মনে হয় অনেক মানুষ মেসিকে জিততে দেখতে চায় কারণ সে বিশ্বকে যা দেখিয়েছে আর ফুটবলকে মেসি যেভাবে ব্যাখ্যা করেছে। ’
‘লিও এটা প্রাপ্য আর ছেলেরা এই মুহূর্ত অবধি আসতে দারুণ প্রচেষ্টা দেখিয়েছে। সে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী ফুটবলার আর মেসি মাঠে পার্থক্য গড়ে দেয়। ’
যদিও সহজ হবে না আর্জেন্টিনার শিরোপা জয়। ১৯৬২ সালের পর প্রথম দল হিসেবে ফ্রান্সের সামনে হাতছানি টানা দুই বিশ্বকাপ জেতার। গতবারের চ্যাম্পিয়নরা এবারও খেলেছে ফেভারিটদের মতো করেই। জেনেত্তি চিন্তায় আছেন ফ্রান্সের বেশ কয়েকজন ফুটবলারকে নিয়েই।
তিনি বলেছেন, ‘আশা করি আমাদের দেশে বিশ্বকাপ নিয়ে আসবে তারা। তবে আমি এমবাপ্পেকে নিয়ে চিন্তিত। গ্রিজম্যান, জিরুদ, রাবিওট যদি খেলে; তারা সবাই মানসম্পন্ন ফুটবলার। তাদের দারুণ একজন গোলরক্ষকও আছে। এই দলটা একই কোচের অধীনে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। খুবই পরিপূর্ণ ও গোছানো দল, যেকোনো কিছুই হতে পারে। ’
বাংলাদেশ সময় : ১০৫৮ ঘণ্টা, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২২
এমএইচবি