বয়স ৩৬ ছুঁইছুঁই। এই বয়সে অনেকেই বুট জোড়া তুলে রাখেন।
৬০ হাজার দর্শকের সামনে সুয়ারেসকে গতকাল পরিচয় করিয়ে গ্রেমিও। ক্যারিয়ারের ক্রান্তিলগ্নে এসেও এমন অভ্যর্থনা পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সুয়ারেস। যা তিনি প্রত্যাশা করেননি
উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ড বলেন, ‘চরিত্র, বন্ধুত্ব, জয় এবং গোল— এই সবকিছু সমর্থকদের কাছে প্রতিজ্ঞা করলাম আমি। ৩৬ বছর বয়সেও যে খেলতে পারি, তা দেখানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে গ্রেমিওতে যোগ দিলাম। কারণ, আমি এটাই করতে পছন্দ করি। বন্ধু লিওনেল মেসি এবং লুকাস লেইভা ( লিভারপুলে সুয়ারেসের সাবেক সতীর্থ যিনি বর্তমানে গ্রেমিওতেই খেলেন) আমাকে এখানে খেলার পরামর্শ দিয়েছে। বন্ধুরা তো এরকমই যারা কি না নিজের সিদ্ধান্তের পাশে থাকবে। ’
ক্যারিয়ারের শেষ সময়ে হাঁটছেন সুয়ারেস। আগের সেই ধার এখন নেই। তবে দলের প্রতি নিবেদনে কোনো ঘাটতি রাখতে চান না এই ফরোয়ার্ড। তিনি বলেন, ‘২০১৩, ২০১৫ বা ২০১৬ সালের সুয়ারেসকে হয়ত দেখতে পাবেন না। হয়তো দ্রুতগতিতে ৫০ মিটার স্প্রিন্টও টানতে পারব না। তবে সতীর্থদের গোলের সুযোগ তৈরি করে দিতে পারব। এটা একটা নতুন দল যেখানে সবাই আমাকে দেখবে সকলের সঙ্গে একই উৎসাহ নিয়ে অনুশীলনে নামতে। ’
আতলেতিকো মাদ্রিদের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ হওয়ার পর গত বছর স্বদেশী ক্লাব নাসিওনালে যোগ দিয়েছিলেন সুয়ারেস। ক্লাবটিকে লিগ চ্যাম্পিয়ন বানানোর পথে অবদান রাখেন আয়াক্স, লিভারপুল, বার্সেলোনা মাতানো এই ফরোয়ার্ড।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০২৩
এএইচএস