পেপ গার্দিওলাকে কেন বিশ্বের অন্যতম সেরা কোচ বলা হয়, তার উদাহরণ হয়ে থাকল এই ম্যাচটি। হোক সেটা ১-০ গোলের জয়, কিন্তু চেলসির মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তিনি কৌশলের যা খেল দেখিয়েছেন তা অনন্য।
স্টামফোর্ড ব্রিজ থেকে জয় কুড়িয়ে আনতে ৩-২-৪-১ ফরমেশন সাজান গার্দিওলা। লেফট ব্যাক জোয়াও কান্সেলোকে এদিন খেলতে হয় রাইট উইং দিয়ে। রেফারি বাঁশি বাজানোর পর থেকেই বলে দখল নিতে শুরু করে সিটিজেনরা। কিন্তু প্রথমার্ধে কোনো গোল পায়নি।
আর্সেনালের সঙ্গে ব্যবধান কমানোর সুযোগ যেন কোনোভাবেই হাতছাড়া করতে চাননি গার্দিওলা। দ্বিতীয়ার্ধে কান্সেলো ও কাইল ওয়াকারকে উঠিয়ে রিকো লুইস ও ম্যানুয়েল আকাঞ্জিকে নামান তিনি। ফরমেশন একই থাকে, তবে চেলসির ওপর আরও বেশি হাই প্রেসিং করতে থাকে সিটি। ম্যাচের ৬০ মিনিটে আবারও চমক দেখান গার্দিওলা। এবারও জোড়া সাব করান তিনি।
বের্নার্দো সিলভার পরিবর্তে রিয়াদ মাহরেজ ও ফিল ফোডেনের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন জ্যাক গ্রিলিশ। এই দুই যুগলবন্দীর রসায়নেই চেলসির মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফেরে সিটি। ৬৩ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে গ্রিলিশের নিখুঁত ক্রস খুঁজে নেয় মাহরেজকে। ট্যাপ-ইন থেকে গোল করতে কোনো ভুল করেননি আলজেরিয়ান ফরোয়ার্ড।
সিটির জন্য জয়টি বড্ড তৃপ্তির। কেননা নতুন বছরের শুরুতেই এভারটনের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে তারা। যার ফলে আরও এগিয়ে যায় আর্সেনাল। কিন্তু নিউক্যাসলের বিপক্ষে গানাররা ড্র করলে শাপমোচনের সুযোগ পায় সিটি। ১৭ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে তারা। পাঁচ পয়েন্ট এগিয়ে থেকে আর্সেনালের সংগ্রহ ৪৪ পয়েন্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২৩
এএইচএস