ঢাকা, শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

ফুটবল

এটা আমার বাবার চেয়ার না: কাজী সালাউদ্দিন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০২৩
এটা আমার বাবার চেয়ার না: কাজী সালাউদ্দিন

এক যুগের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতির দায়িত্বে আছেন কাজী সালাউদ্দিন। এই সময়কালে ফুটবলের উন্নয়নের জন্য নিজের সর্বোচ্চটা দিয়েই চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

 

তবে পদ আকড়ে ধরে রাখার কোনও ইচ্ছা নেই বলে জানিয়েছেন বাফুফের বর্তমান সভাপতি। তার চেয়েও ভালো কাউকে পেলে দায়িত্ব দিতে কোনো আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন সালাউদ্দিন। আজ বাফুফে ভবনে হওয়া এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।

সালাউদ্দিন বলেন, ‘ফুটবল একার পক্ষে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। এখানে যদি সবাই এক সঙ্গে না হতে পারি। আমি কেনো, যাকে আনেন অসুবিধা নেই। যদি ভালো করতে পারে তাহলে চেয়ার পাবে। রাস্তায় রাস্তায় টোকাইয়ের মতো টাকা উঠানো আমার ডিউটি নয়। এটা আমার বাবার চেয়ার না যে সবসময় থাকবে। যে কেউ আসতে পারে এখানে। ’

মেয়েরা সালাউদ্দিনের কাছে নিজেদের দাবি তুলে ধরেছিলেন। সেই দাবি পূরণ না হওয়ায় তারা তিন দিন অনুশীলন বন্ধ রেখেছিল বলে জানান বাফুফে সভাপতি, ‘মেয়েরা আসছিল আমার কাছে, কিছু চাহিদা জানিয়েছে। শুধু এক জায়গায় রিজনেবল নায়। প্রথম হলো পাঁচগুণ বেতন বাড়াতে হবে। দ্বিতীয়ত গিয়ার্স দিতে। বিদেশি বুট দিতে। ’

‘তৃতীয়ত বলেছে ম্যাচ ফি ও বোনাস দিতে। ফুডের কোয়ালিটি ভালো করতে। ওরা যে পাঁচটি ডিমান্ড দিয়েছে তা লজিক্যাল। শুধু পাঁচগুণ বেতন বাড়ানো ছাড়া। সব মিলিয়ে দেখি ফুডে এক কোটি টাকার বেশি আসে। বুটে আসে ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা। আমি মনে করি জেনুইন চাহিদা। তবে সেই চাহিদা আমি পূরণ করবো কিভাবে? আমাদের ফান্ডে তো টাকা নেই। ’

যদিও মেয়েদের অনুশীলন বন্ধ রাখা বাফুফে সভাপতির পছন্দ হয়নি। তিনি বলেন, ‘তারা ট্রেনিং করা বন্ধ করলো। এটা মোটেও ভালো কাজ করেনি। আমিও ফুটবলার ছিলাম। আমাদেরও অনেক দাবি-দাওয়া ছিল। কিন্তু কখনও আমরা অনুশীলন বন্ধ করিনি। আমি মেয়েদের কমিটমেন্ট দিয়েছিলাম, ডাবল বেতন দিতে থাকবো। সমাধান না আসা পর্যন্ত। তাদের ডেকে বলেছি অনুশীলন বন্ধ করলে তোমাদের লস হবে। আমি চেষ্টা করছি কীভাবে সবকিছু আয়োজন করা যায়। ’

নিজের টাকা থেকেই মেয়েদের বাড়তি বেতন দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন কাজি সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমি তিন মাস আমার নিজের থেকে ডাবল বেতন দেবো। এরপর বসে সিদ্ধান্ত নেবো কি করা যায়। যাই হোক ওরা ট্রেনিং শুরু করেছে। এখন ফান্ড না থাকলে বেতন বাড়াবো কীভাবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০২৩
এআর/আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।