সম্প্রতি সময়টা ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কর্তাদের। একের পর এক নেতিবাচক সংবাদের শিরোনাম হতে হচ্ছে তাদের।
আজ (৬ মে) শনিবার পল্টন ময়দান সংলগ্ন হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক হ্যান্ডবল টুর্নামেন্টের লোগো উন্মোচন শেষে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের যিনি সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তার কর্মকাণ্ড ও কার্যক্রমে অসততা ছিল বলে ফিফা কর্তৃক নিষিদ্ধ হয়েছেন। পরবর্তীতে ফুটবল ফেডারেশন থেকেও তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। ফিফা কর্তৃক এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা সত্যি আমাদের জন্য লজ্জাজনক ব্যাপার। এটা দেশেরও ভাবমূর্তির বিষয়। ’
আগামী ১৪ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করবেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। সেই সময় তিনি সামগ্রিক বিষয় তুলে ধরবেন, ‘মূলত বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের গ্যালারী শেড ও ফ্লাডলাইটের ডিজাইন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দেখানো হবে। তিনি অনুমোদন দিলে আমরা পরবর্তী পর্যায়ের কাজ করব। তখন ফুটবলের সামগ্রিক বিষয়ে আলোচনা করব। ’
বাফুফের চলমান বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আগ বাড়িয়ে কোনো উদ্যোগ নিতে চান না। ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘ফুটবল ফেডারেশন বিষয়টি তদন্ত করছে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিও আমাদের তদন্তের নির্দেশনা দিয়েছে। এ কারণেই আমরা সরাসরি কিছু করছি না। ’
ফিফাকে শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করে দেশের খেলাধুলার এই অভিভাবক বলেছেন, ‘ফিফা বিশ্বের মধ্যে অত্যন্ত শক্তিশালী একটি সংগঠন। তাই এমন কোনো কাজ আমরা করবো না, যে কাজটি করলে ব্যক্তির ওপর আসা নিষেধাজ্ঞা দেশের ওপর এসে পড়ে। তাই আমরা একটু ভেবেচিন্তে পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমরা চাই না যে, এমন কোন সিদ্ধান্ত আসুক যে সিদ্ধান্তের জন্য ফুটবল ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এর জন্যই আমরা ধীরগতিতে আগাচ্ছি। তবে অবশ্যই যারা এ ধরনের অন্যায় করেছে তাদের শাস্তি হবে। ’
ব কিছু ছাপিয়ে গেছে সম্প্রতি বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সাংবাদিকদের নিয়ে করা মন্তব্য। বিশিষ্ট এই ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের মন্তব্য ব্যথিত করেছে ক্রীড়াঙ্গনের সকলকে। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলও দুঃখ পেয়েছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ও সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদের সাংবাদিক সংক্রান্ত মন্তব্যে। জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘সাংবাদিকরাই আমাদের ক্রীড়াঙ্গনের সকল খবর ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়। সেই সাংবাদিকদের নিয়ে এমন মন্তব্য খুবই নিন্দনীয়। এই কথা অফ বা অন দ্য রেকর্ড নয়। ঘুমিয়েও মানুষ বলতে পারে না। ’
বাবা-মা’কে জড়িয়ে মন্তব্য করাটা সবচেয়ে বেশি ব্যথিত করেছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের অভিভাবককে, ‘আমি যদি মন্ত্রী হিসেবে কোনো অন্যায় করি, আমাকে হয়তো দোষারোপ করতে পারেন। সাংবাদিক হিসেবে অন্যায় করলে সাংবাদিককে দোষারোপ করতে পারেন। তার পরিবারকে নিয়ে কথা বলা এর চেয়ে খারাপ কিছু হতে পারে না। একটি মানুষের পরিবার নিয়ে, পরিবার যেখানে অন্যায় করিনি বা কোনো কাজে আসেনি। সেখানে পরিবার নিয়ে মন্তব্য, এটা কোনো ভাবেই মেনে যায় না। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০২৩
এআর/আরইউ