বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব থেকে আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ফিফা। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধম্যে গত ১৪ এপ্রিল তা জানায় ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থাটি।
যদিও কমিটি থেকে বাফুফের দুই সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক এবং মহিউদ্দিন মহি পদত্যাগ করেন। ফলে আট সদস্য নিয়েই তদন্ত কমিটি চলছে। তদন্ত কমিটির প্রথম সভা আয়োজিত হয়েছে আজ। তদন্তকালীন সোহাগকে ডাকার কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন কমিটির প্রধান কাজী নাবিল আহমেদ।
সভা শেষে নাবিল বলেন, ‘আমরা আজ প্রথম সভায় মূলত কার্যপরিধি ও পন্থা নিয়ে আলোচনা করেছি। আরও কয়েকটি সভা হলে পুরে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। আমরা ফিফার অভিযোগের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখবো। সেখান থেকে কী কী শিক্ষণীয় এবং ভবিষ্যৎ পথচলায় যেন এমন কোনো কিছু না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখব। ’
‘এখন তাকে ডাকার কোনও অবকাশ নেই। আমরা তাকে ডাকছি না। বাকিদের সঙ্গে কথা বলছি। তার বিষয়ে ফিফা সিদ্ধান্ত দিয়ে দিয়েছে। বোর্ড সিদ্ধান্ত দিয়ে দিয়েছে। উনি আপিল করেছেন সেটা অন্য বিষয়। আমরা আগে বাকিদের সঙ্গে কথা বলি। তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজন বোধ করলে পরে সিদ্ধান্ত হবে। আজকেই তো আর সব সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। আমাদের আরও খতিয়ে দেখতে হবে। ’
জুরিখে ফিফার সদর দপ্তরে সোহাগের সঙ্গে বাফুফের আরও তিন কর্মকর্তা গিয়েছিলেন। তাদেরকে স্বপদে বহাল রেখেই তদন্ত করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে নাবিল বলেন, ‘আমাদের সভায় সেটাই আলোচনা হয়েছে। কখন কাকে ডাকব, কি করবো; তাদেরকে দায়িত্বে রেখেই আমরা তদন্ত করবো কি না এটা পরে সিদ্ধান্ত নেব। ’
‘দুদিন পরেই আমরা এই বিষয়ে আলাপ করব এরপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তারা গিয়েছিলেন, তাদেরকে তো আর ফিফা থেকে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। সুতরাং এখনো তারা দায়িত্বে আছেন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২৩
এআর/এএইচএস