টুর্নামেন্ট শুরুর আগে উরুগুয়ে বা ইতালি কেউই ফেভারিট ছিল না। কিন্তু দিনশেষে ফাইনাল খেলল তারাই।
ইতালি যদিও প্রথমবার ফাইনালে উঠেছে। তবে উরুগুয়ের ফাইনাল হারের অভিজ্ঞতা ছিল দুইবার। তাই অদৃশ্য একটা শঙ্কা নিয়ে মাঠে নামে তারা। অন্যদিকে সবশেষ চার আসরে শিরোপা গিয়ে ইউরোপের দেশগুলোতে। দক্ষিণ আমেরিকার দেশ হিসেবে সবশেষ ২০১১ সালে শিরোপা জিতেছিল ব্রাজিল। এক যুগ পর সেই আক্ষেপ ঘুচালো উরুগুয়ের যুবারা।
আর্জেন্টিনার লা প্লাতায় দিয়েগো ম্যারাডোনা স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই ইতালিকে চেপে ধরে উরুগুয়ে। পুরো আসরের মতো ফাইনালেও তাদের রক্ষণ ছিল জমাটবাঁধা। সেই গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ডের কাছে তিন গোল হজম করেছিল, এরপর আর কোনো গোলই খায়নি তারা। কিন্তু ফাইনালে গোল পেতে গলদঘর্ম ছুটে যায় তাদের।
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর উরুগুয়ের কাঙ্ক্ষিত সেই মুহূর্তটি আসে ৮৬তম মিনিটে। ক্লোজ রেঞ্জ থেকে দারুণ হেডে গোলটি করেন লুসিয়ানো রদ্রিগেস। সেটাই গড়ে দেয় ম্যাচের ভাগ্য।
উল্লেখ্য, এবারের টুর্নামেন্টটি আয়োজন করার কথা ছিল ইন্দোনেশিয়ার। কিন্তু দেশটিতে ইসরায়েলিদের অংশগ্রহণের প্রতিবাদ শুরু হওয়ায় শেষ মুহূর্তে সেখান থেকে টুর্নামেন্টটি প্রত্যাহার করে আর্জেন্টিনায় নিয়ে যায় বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।
এতে স্বাগতিক হিসেবে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়ে যায় কোয়ালিফাই না করতে পারা আর্জেন্টিনা। যদিও বেশি দূর এগুতো পারেনি লিওনেল মেসিদের উত্তরসূরীরা, বাদ পড়ে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই। দক্ষিণ আমেরিকার আরেক পরাশক্তি ব্রাজিল যেতে পারে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত। যদিও ব্রাজিল, আর্জেন্টিনার বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই ক্লাবের বাধার কারণে খেলতে পারেননি। সেদিক থেকে অনেকটা সুবিধা পেয়েছে উরুগুয়ে। কেননা তাদের খুব কম সংখ্যক খেলোয়াড়ই ক্লাবের বাধার মুখে পড়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৩
এএইচএস