সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত। দুই দল রাউন্ড রবিন লিগে মুখোমুখি হয়েছিল।
ম্যাচের শুরুতে আক্রমণে এগিয়ে থাকলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় ভারত। বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে খেলার চতুর্থ মিনিটে বল পান মোসাম্মৎ সাগরিকা। রাইট উইং দিয়ে ভারতীয় কয়েকজন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে একাই ঢুকে পড়েন প্রতিপক্ষের বিপদসীমায়। বক্সের একটু সামনে থেকে তার ডান পায়ের শটটি ঠেকিয়ে দেন ভারতীয় ডিফেন্ডার থোইসিবা চানু তইজাম।
ম্যাচে সপ্তম মিনিটেই গোল হজম করে বাংলাদেশ। মিডফিল্ড থেকে লং পাসে বল বাড়িয়ে দেন ডানপ্রান্তে থাকা শিবানী দেবির কাছে। অসতর্ক রক্ষণে চিড় ধরিয়ে গোলরক্ষক স্বর্ণা রানী মন্ডলকে বোকা বানান তিনি। এরপর গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে বল জালে জড়ান শিবানী। ম্যাচে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে স্বাগতিক বাংলাদেশ। এ নিয়ে টুর্নামেন্টে চতুর্থ গোল করলেন এই ফরোয়ার্ড।
গোল পরিশোধের ভাল সুযোগ পায় বাংলাদেশ খেলার দশম মিনিটে। ডানপ্রান্ত থেকে মোসাম্মৎ ইতি খাতুনের থ্রো তার কাছেই ব্যাক পাস দেন সতীর্থ। এবার অনেকটা দূর থেকেই বক্সে বল উড়িয়ে মারেন ইতি। তবে ভারতীয় গোলরক্ষক কোনো বিপদ ঘটতে দেননি।
এরপর অনেকটাই এলোমেলো ফুটবল খেলে বাংলাদেশ। পিছিয়ে পড়ে কিছুটা হতাশাই যেন ভর করে স্বাগতিক শিবিরে। ভারতীয় রক্ষণ কাপানোর মতো তেমন কোনো আক্রমণ করতে পারছিল না সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা।
ম্যাচের ৩৫ মিনিটে প্রায় গোল পেয়েই যাবে বলেই মনে হচ্ছিল। বক্সের অনেকটা দূর থেকেই গোলে শট নেন স্বপ্না রানী। হাওয়ায় ভাসতে থাকা বল গোলের ঠিকানা খুঁজে পাবে বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু বক্সের সামান্য উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। দুই মিনিট পর আবারও স্বপ্নার শট। ৩৫ গজ দূর থেকে গোলে সোজা শট নেন তিনি। যদিও তার শটটি অনায়েসেই ঠেকিয়ে দেন ভারতীয় গোলরক্ষক আনি দেবি সারুবাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৪
এআর/এএইচএস