বাফুফের বার্ষিক সাধারণ সভায় চারটি নারী দলকে কাউন্সিলরশিপ দিয়েছে বাফুফে (বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন)। যারা আগামী নির্বাচনে ভোট প্রদানের অধিকার পাচ্ছে।
মেয়েরা সাফ শিরোপা জিতে বাংলাদেশ ফুটবলের নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েও উপেক্ষিত। তাদের অলিম্পিক বাছাইয়ে খেলতে পাঠায় না বাফুফে। এমনকি মহিলা ফুটবলের চ্যাম্পিয়ন ক্লাবকেও এএফসি ওমেন্স চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলতে দেয়নি মাহফুজা আক্তার কিরণ নিয়ন্ত্রিত মহিলা ফুটবল কমিটি। অথচ এই মহিলা ফুটবলের ক্লাব নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন নাটক। এবারের লিগের সেরা চার দল পেয়েছে ভোটাধিকার।
আজ সাধারণ সভা শেষে বাফুফে প্রেসিডেন্ট কাজী সালাউদ্দিন বলেন, 'আজ একটাই নতুন সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেটা হলো মেয়েদের চারটা নতুন কাউন্সিলর পাশ হয়েছে। বিএফএফ এবং ওমেন্স কমিটির একটা চাহিদা ছিল। মেয়েরা যে লিগ খেলে এবং ন্যাশনাল টিমে খেলে সেখান থেকে কাউন্সিলরশিপ চাওয়া হয়েছিল। '
'চাওয়া হয়েছিল অনেকগুলা কিন্তু সেখান থেকে মাত্র চারটা পাস করা হয়েছে। আর বাকি সবকিছুই আগের মতো। টপ চারটা দল নির্বাচনে ভোটাধিকার পাবে,' যোগ করেন তিনি।
এবারের নারী লিগ নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। এবারের লিগ খেলেনি হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস। শেষ মুহূর্তে নাসরিন একাডেমি অংশ নেয়। জাতীয় দলের তারকা ফুটবলারদের নিয়ে দল গঠন করে তারা। তবে এতে খেলোয়াড়রা কতটা লাভবান হয়েছেন, তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
নারী লিগের চার দলকে একটু জলদিই কাউন্সিলরশিপ দেয়া হলো কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে সালাউদ্দিন বলেন, 'খুব তাড়াতাড়ি দেওয়া হয়নি। তারা তো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দুই বছর আগে। লিগতো খেলছে ৪-৫ বছর হয়ে যায়। '
ভোটের আগে তাড়াহুড়ো করে কাউন্সিলরশিপ দেওয়ায় সমালোচনা হয়েছে অনেক। এবারের নারী লিগ হয়েছে নামকাওয়াস্তে। নেই বড় কোনো দল। বাফুফের এক মহলের আস্থাভাজনদের জয়-জয়কার ছিল। তারাই পেয়েছে কাউন্সিলরশিপ। এ বিষয়ে বাফুফে প্রেসিডেন্ট বলেন, 'যেখানে আপনার কাছে ১৪৭ জন কাউন্সিলর আছে নতুন চারটা কাউন্সিলর খুব একটা প্রভাব ফেলবে না। বড় বড় ক্লাবগুলো এখনো নারী নিয়ে খেলে না। তো যারা লিগে লেগে খেলে তাদেরকে একটা কিছু তো দিতে হবে যেন তারা খেলে। এটা সেই দিকে প্রথম পদক্ষেপ। '
ফিফা এর আগে বাফুফেকে কাউন্সিলর কমাতে নির্দেশনা দিয়েছিল। তবে বাফুফে আরও চারটা কাউন্সিলর বাড়ালো। এ বিষয়ে সালাউদ্দিন বলেন, 'আমরা ফিফাকে জবাব দিতে পারব। কারণ ফিফাকে আমরা বলেছিলাম, কমাতে হলে তোমাদের কমাতে হবে, আমরা কমাতেও পারবো না। বাড়াইতেও পারবো না, কারণ এটা করতে গেলে আমাদের আবার কংগ্রেস করতে হবে। আমরা এটা নিয়ে আলোচনা চালিয়ে গিয়েছিলাম তখন তারা বলেছিল এটা স্থগিত রাখো। আমরা পরে তোমাদের (বাফুফের) সঙ্গে আলোচনা করব। সেটা ফিফাই বলেছিল। '
কাউন্সিলারশিপ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয় নজর দেওয়া হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী সালাউদ্দিন বলেন, 'কোনো ক্রাইটেরিয়া দেখা হয়নি। যে ১০ জনের কয়েকটি খেলেছে, তার মধ্য থেকে টপ চারজনকে কাউন্সিলরশিপ দেওয়া হয়েছে। '
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২৪
এআর/এমএইচএম