বেশ কিছুদিন থেকেই বাংলাদেশের ফুটবলে আলোচনার কেন্দ্রে হামজা চৌধুরী। বাংলাদেশের হয়ে খেলতে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়েছেন ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটির এই ফুটবলার।
হামজারও খেলার ইচ্ছা রয়েছে বাংলাদেশের হয়ে। ফলে বাফুফে থেকে যোগাযোগ করা হলে সেই ডাকে সাড়া দেন তিনি। লাল সবুজের জার্সিতে হামজাকে খেলাতে যা যা করণীয় সবই করছে বাফুফে। অপেক্ষা কেবল ফিফার অনুমোদনের।
ইমরান বলেন, ‘হামজাকে বাংলাদেশের হয়ে খেলানোর জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। ফিফার সঙ্গে আমরা নিয়মিতই যোগাযোগ রাখছি। তারা আমাদের কাছে কিছু কাগজ চেয়েছে। আমরা সেই কাগজ ইতোমধ্যেই পাঠিয়ে দিয়েছি। কী কী কাগজ চেয়েছে তা গোপনীয় বলে আমরা বলতে পারছি না। আমরা ফিফার জবাবের অপেক্ষায় রয়েছি। আশা করি, ভালো কিছুই আসবে। ’
হামজাকে বাংলাদেশের হয়ে খেলানোর অনুমতি পাওয়ার শেষ ধাপেই আছে বাফুফে, এমনটা মনে করেন সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘আসলে আমাদের পক্ষ থেকে আন্তরিকতার কোনো কমতি নেই। আমরা আমাদের সব চেষ্টাই করছি। ফিফা যা যা চেয়েছে আমরা সবই দিয়েছি। এখন ফিফার জবাবের অপেক্ষায়। আমার মনে হয়, আমরা শেষ ধাপেই রয়েছি। তাদের আরও কোনো কিছু প্রয়োজন হলে আমরা সেটাও দেব। ’
সম্প্রতি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হচ্ছে বাংলাদেশের জার্সিতে হামজার খেলা অনিশ্চিত। তবে এমনটা মানতে নারাজ বাফুফে সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘হামজার বিষয়ে এখনো পুরোপুরি কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এছাড়া আমরা ফিফার সঙ্গে আলোচনার যে পর্যায়ে আছি তাতে করে তার বিষয়ে অনিশ্চয়তারও কিছু নেই। আমরা আশাবাদী দ্রুত সময়ের মধ্যেই হামজা বাংলাদেশের জার্সিতে খেলবে। ’
‘ফিফার সঙ্গে কাজ করলে আপনি বুঝতে পারবেন, এখানে আগে থেকেই কিছু বলা যায় না। হামজা বাংলাদেশের জার্সিতে কবে খেলার অনুমতি পাবেন তা এখনই আমরা বলতে পারছি না। তবে আমরা আশাকরি দ্রুতই তিনি বাংলাদেশের জার্সিতে খেলবেন। নিশ্চিত না হয়ে আমি সময় নিয়ে কিছু বলছি না। ’
শুধু হামজা নয় অনেক প্রবাসী বাংলাদেশী ফুটবলারের দিকেই নজর রাখছে বাফুফে। যোগাযোগ করছে তাদের সঙ্গেও। তবে তাদের নাম আগেই জানাতে চায় না বাফুফে। দুই পক্ষ থেকে সম্মতি এলেই নাম প্রকাশ করা হবে। এছাড়া ইউরোপ এবং বিভিন্ন দেশের ক্লাব ফুটবলে নজর রাখছে বাফুফে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২৪
এআর/এএইচএস