ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ মাঘ ১৪৩১, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬ শাবান ১৪৪৬

ফুটবল

একুশে পদক পাচ্ছেন সাফজয়ী মেয়েরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫
একুশে পদক পাচ্ছেন সাফজয়ী মেয়েরা

টানা দ্বিতীয়বার মেয়েদের সাফ ফুটবলের শিরোপা জেতা বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে একুশে পদক দিচ্ছে সরকার।  এই প্রথম বাংলাদেশের কোনও ক্রীড়া দল একুশে পদক পেতে যাচ্ছে।

 

আজ বৃহস্পতিবার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।  

দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য দেশের ১৪ জন বিশিষ্ট নাগরিক ও নারী ফুটবল দলকে একুশে পদকের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ নারী দল ২০২২ সালে স্বাগতিক নেপালকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব পেয়েছিল। এরপর ২০২৪ সালে একই প্রতিপক্ষকে আগের ভেন্যুতেই হারিয়ে টানা দ্বিতীয় শিরোপা পায় মেয়েরা।

বাংলাদেশ নারী দল ২০২২ সালে স্বাগতিক নেপালকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব পেয়েছিল। এরপর ২০২৪ সালে একই প্রতিপক্ষকে আগের ভেন্যুতেই হারিয়ে টানা দ্বিতীয় শিরোপা পান সাবিনারা। হিমালয়ের দেশে আবারও সফলতার খুঁটি গেড়ে তারা নিজেদের নিয়ে যান অনন্য এক উচ্চতায়।

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন এই সংবাদ পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘একুশে পদক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পুরস্কারের জন্য আমাদের মনোনীত করায় সরকারের প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। আমাদের এই পুরস্কার শুধু নারী দল নয়, পুরো ক্রীড়াঙ্গনকে উজ্জীবিত করবে বলে মনে করি। ’ 

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক। নিয়াজ মোর্শেদ, কাজী সালাউদ্দিন, সাঁতারু মোশাররফ, জাকারিয়া পিন্টুসহ আরও কয়েকজন এই পদক পেয়েছিলেন। সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এবং আনসারও পেয়েছিল একুশে পদক। মাঝে প্রায় দুই দশক এই পুরস্কার ক্রীড়াঙ্গনের কেউ পায়নি। গত দুই বছর ক্রীড়াঙ্গনে এই পুরস্কার এসেছে।  সাবেক অ্যাথলেট ফিরোজা খাতুন ও এর আগের বছর ক্রিকেটার রকিবুল হাসান জাতীয় এই স্বীকৃতি পেয়েছিলেন।

একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, একটি সম্মাননাপত্র ও ৪ লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়।

একুশে পদকের জন্য মনোনীত ব্যক্তিরা হলেন: চলচ্চিত্রে আজিজুর রহমান (মরণোত্তর), সংগীতে ওস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া (মরণোত্তর) ও ফেরদৌস আরা, আলোকচিত্রে নাসির আলী মামুন, চিত্রকলায় রোকেয়া সুলতানা, সাংবাদিকতায় মাহফুজ উল্লা (মরণোত্তর), সাংবাদিকতা ও মানবাধিকারে মাহমুদুর রহমান, সংস্কৃতি ও শিক্ষায় শহীদুল আলম, শিক্ষায় নিয়াজ জামান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মেহেদী হাসান খান, সমাজসেবায় মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী (মরণোত্তর), ভাষা ও সাহিত্যে হেলাল হাফিজ (মরণোত্তর) ও শহীদুল জহির (মরণোত্তর) এবং গবেষণায় মঈনুল হাসান।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫
এমএইচএম/এআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।