ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ বৈশাখ ১৪৩২, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

এএফসির অনুদান নিয়ে বাফুফের বিভ্রান্তিকর তথ্য

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২৫
এএফসির অনুদান নিয়ে বাফুফের বিভ্রান্তিকর তথ্য ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি এএফসি কংগ্রেস আয়োজিত হয়েছে মালয়েশিয়ায়। সেখান থেকে ফিরে গতকাল হঠাৎ করেই সংবাদ সম্মেলনে করেন প্রতিনিধিদলের অন্যতম সদস্য এবং বাফুফের সহ-সভাপতি ওয়াহিদউদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি।

সেখানে তিনি এক বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছেন।  

এএফসির অনুদান নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেন তিনি। তার দাবি, বাংলাদেশের জন্য এএফসি আড়াই মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে! বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৩১ কোটি টাকার ওপরে। তবে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, এএফসি তার সব সদস্য দেশের জন্য উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ কিছুটা বাড়িয়েছে। যেটা আগে ছিল বছরে ২ লাখ ডলার। সেটাই হয়েছে আড়াই লাখ ডলার। যেটা তিন কোটি টাকার কিছু বেশি।  

এএফসির স্টেডিয়াম প্রজেক্টের অধীনে আগামী চার বছরে বাংলাদেশসহ সব সদস্য দেশ পাবে ১ মিলিয়ন ডলার করে। অর্থাৎ হ্যাপির বলা আড়াই মিলিয়ন ডলারের তথ্য পুরোটাই অসত্য।

কংগ্রেসে বাফুফের সভাপতির সফরসঙ্গী হয়ে অংশ নিয়েছিলেন সহ-সভাপতি হ্যাপি ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান। এছাড়া এএফসির কাউন্সিল মেম্বার হওয়ায় কংগ্রেসে অংশ নেন বাফুফের নির্বাহী সদস্য মাহফুজা আক্তার। সাফের সভাপতি হিসেবে কংগ্রেসে ছিলেন বাফুফের শেষ চার মেয়াদের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনও।  

এই সফরকে হ্যাপি ভীষণ ফলপ্রসূ দাবি করে শুরুতেই বলেন, ‘আমাদের স্টেডিয়াম প্রজেক্টের জন্য ২.৫ মিলিয়ন ডলার স্যাংশন করেছে। এছাড়া দ্বিপাক্ষিক অনেকগুলো দেশ যেমন জাপান, কাতার ও সৌদি আরবের সঙ্গে মিটিং করেছি। তারা সবাই বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এএফসি প্রেসিডেন্ট আমাদের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একান্ত আলাপ করেছেন আমাদের বিভিন্ন প্রজেক্ট নিয়ে। বিশেষ করে ফুটবলের অ্যাকাডেমি ও খেলোয়াড়দের উন্নয়নের জন্য আমরা কিছু প্রজেক্ট দেব। তিনি আমাদের পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন। ’ 

এছাড়া কাতার, জাপান ও সৌদি আরব ফেডারেশনের কর্তাদের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক আলোচনার কথা জানান হ্যাপি, ‘আমি মনে করি আমাদের সফর ফলপ্রসূ হয়েছে। আমাদের র‌্যাংকিং বেড়েছে, হামজা খেলেছে। এ ব্যাপারে যতগুলো ফেডারেশনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়ে, সবাই এপ্রিশিয়েট করেছে। ’

তথ্যগত ত্রুটির বিষয়টি নিশ্চিত করে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার বলেন, ‘একটা তথ্য বিভ্রাট ঘটেছে। যে অঙ্কটা বলা হয়েছে, সেটা সঠিক নয়। আমরা আগে থেকেই স্টেডিয়াম প্রজেক্টের অধীনে বার্ষিক দুই লাখ ডলার করে পেতাম। সেটা আগামী চার বছরের জন্য বছরপ্রতি আড়াই লাখ ডলার করা হয়েছে। চার বছরে আমরা এক মিলিয়ন ডলার পাব। এই বরাদ্দ সব সদস্য দেশই সমানভাবে পাবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২৫
এআর/আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।